‘তেল এয়াকুবের’ রাজনৈতিক সক্রিয়তা নিয়ে আলোচনা, বিতর্ক

ছাগলনাইয়া ও ফেনী-১ আসনের রাজনীতিতে আলোচনায় ফিরেছেন ঘোপালের ব্যবসায়ী এয়াকুব চৌধুরী ওরফে “তেল এয়াকুব”। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের দাবি, তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং অতীতে অর্থ ও প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচনসহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীদের একাংশ অভিযোগ তুলেছে, সম্প্রতি রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনে তিনি এখন বিএনপি নেতা মুন্সি রফিকুল আলম মজনুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন। তাদের দাবি, মজনুকে খুশি করতে তিনি কয়েকদিন আগে আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন বলে স্থানীয় মহলে আলোচনা রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আগামী ২৯ নভেম্বর এয়াকুব চৌধুরীর বাড়িতে হাজারো মানুষের জন্য বড় পরিসরে মেজবান আয়োজন করা হচ্ছে, যা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মন জয় করে রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তারের আরেক প্রচেষ্টা বলে তারা মনে করছেন। বিএনপির ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, “যে মানুষটি আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটে থেকে দীর্ঘদিন তেল ব্যবসা করেছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও কর্মীদের পাশে ছিলেন, এখন তিনি বিএনপির ঘাড়ে চড়ে বসতে চাইছেন—এটি দলকে বিভক্ত করার পদক্ষেপ।” তারা আরও দাবি করে

‘তেল এয়াকুবের’ রাজনৈতিক সক্রিয়তা নিয়ে আলোচনা, বিতর্ক

ছাগলনাইয়া ও ফেনী-১ আসনের রাজনীতিতে আলোচনায় ফিরেছেন ঘোপালের ব্যবসায়ী এয়াকুব চৌধুরী ওরফে “তেল এয়াকুব”। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের দাবি, তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং অতীতে অর্থ ও প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচনসহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীদের একাংশ অভিযোগ তুলেছে, সম্প্রতি রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনে তিনি এখন বিএনপি নেতা মুন্সি রফিকুল আলম মজনুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন। তাদের দাবি, মজনুকে খুশি করতে তিনি কয়েকদিন আগে আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন বলে স্থানীয় মহলে আলোচনা রয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, আগামী ২৯ নভেম্বর এয়াকুব চৌধুরীর বাড়িতে হাজারো মানুষের জন্য বড় পরিসরে মেজবান আয়োজন করা হচ্ছে, যা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মন জয় করে রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তারের আরেক প্রচেষ্টা বলে তারা মনে করছেন।

বিএনপির ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ,

“যে মানুষটি আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটে থেকে দীর্ঘদিন তেল ব্যবসা করেছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও কর্মীদের পাশে ছিলেন, এখন তিনি বিএনপির ঘাড়ে চড়ে বসতে চাইছেন—এটি দলকে বিভক্ত করার পদক্ষেপ।”

তারা আরও দাবি করেন, অতীতে প্রতিটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ কর্মীদের তিনি শত শত টি-শার্ট সরবরাহ করেছেন এবং এখনও নাকি নিজাম হাজারী ও আলাউদ্দিন নাসিমের নৌযান–সম্পর্কিত কিছু কার্যক্রম তিনি দেখাশোনা করেন।

ছাগল নাইয়া উপজেলার ১০নং গোপাল ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী আবদুল মোমিন জানান, এয়াকুব চৌধুরী গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কাজ করেছেন, আলা উদ্দিন চৌধুরী নাসিমের নির্বাচনে সে সরাসরি অংশ গ্রহন করেছে, সে নির্বাচিত হওয়ার পর ইয়াকুব চৌধুরী গরু জবাই করে মেজবানি করেছে, নৌকা মার্কার পক্ষে এলাকায় ৮ শত টি শার্ট বিলি করেছে, পটপরিবর্তনের পরে সে এখন বিএনপির কাঁধে উঠতে চাইছে এটা আমরা মানবোনা, এয়াকুব চৌধুরীর এই নতুন রাজনৈতিক সক্রিয়তা দলীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং “বাইরের প্রভাব” তৈরি করে আওয়ামী লীগ পন্থি এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা হতে পারে” বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গোপাল ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী জিয়া উদ্দিন জানান, আমাগী ২৯ তারিখে তার বাড়িতে নাকি মেজবানি বিএনপির লোকদের দাওয়াত করেছে, আমি তার দাওয়াতে যাবোনা, কারন সে আওয়ামী লীগের দোসর।

এ বিষয়ে এয়াকুব চৌধুরী আওয়ামী লীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে বিএনপির লোক বলে দাবী করেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow