তেল-লোশন লাগানো অবস্থায় অজু বা ফরজ গোসল হবে?
প্রশ্ন: শরীরে তেল, লোশন, ক্রিম বা গ্লিসারিন ব্যবহার করলে কি অজু বা ফরজ গোসল শুদ্ধ হয়? অর্থাৎ আমি যদি অজুর অঙ্গগুলোতে তেল, লোশন লাগিয়ে তারপর অজু করি অথবা শরীরের যে কোনো অংশে তেল, লোশন বা গ্লিসারিন লাগানোর পর ফরজ গোসল করি, তেল-লোশন দূর না করেই শরীরে পানি গড়িয়ে দেই, তাহলে আমার অজু-গোসল শুদ্ধ হবে কি না? নাকি সাবান দিয়ে ধুয়ে তেল-লোশন দূর করতে হবে। উত্তর: অজুতে নির্দিষ্ট অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলে পুরো শরীর পানি দিয়ে ভেজানো/ ধোয়া ফরজ। যদি অজুর অঙ্গে বা শরীরে এমন কিছু লেগে থাকে যা চামড়ার ওপর আলাদা আবরণ তৈরি করে এবং চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেয়, তাহলে অজু বা গোসল শুদ্ধ হবে না। সাধারণত তেল, লোশন বা গ্লিসারিন চামড়ার সঙ্গে মিশে যায় এবং চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা সৃষ্টি করে না। তাই অজু বা গোসলের সময় সংশ্লিষ্ট অঙ্গগুলো পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়াই যথেষ্ট, সাবান দিয়ে ধোয়ার প্রয়োজন নেই। কোনো তেল বা লোশন যদি চামড়ার ওপর আলাদা আবরণ তৈরি করে, চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেয়, তাহলে ওই আবরণ দূর করে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছাতে হবে। অজুর সময় অজুর অঙ্গগুলো এবং গোসলের সময় পুরো শরীর সচেতনতার সঙ্গে ভাল
প্রশ্ন: শরীরে তেল, লোশন, ক্রিম বা গ্লিসারিন ব্যবহার করলে কি অজু বা ফরজ গোসল শুদ্ধ হয়? অর্থাৎ আমি যদি অজুর অঙ্গগুলোতে তেল, লোশন লাগিয়ে তারপর অজু করি অথবা শরীরের যে কোনো অংশে তেল, লোশন বা গ্লিসারিন লাগানোর পর ফরজ গোসল করি, তেল-লোশন দূর না করেই শরীরে পানি গড়িয়ে দেই, তাহলে আমার অজু-গোসল শুদ্ধ হবে কি না? নাকি সাবান দিয়ে ধুয়ে তেল-লোশন দূর করতে হবে।
উত্তর: অজুতে নির্দিষ্ট অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলে পুরো শরীর পানি দিয়ে ভেজানো/ ধোয়া ফরজ। যদি অজুর অঙ্গে বা শরীরে এমন কিছু লেগে থাকে যা চামড়ার ওপর আলাদা আবরণ তৈরি করে এবং চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেয়, তাহলে অজু বা গোসল শুদ্ধ হবে না। সাধারণত তেল, লোশন বা গ্লিসারিন চামড়ার সঙ্গে মিশে যায় এবং চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা সৃষ্টি করে না। তাই অজু বা গোসলের সময় সংশ্লিষ্ট অঙ্গগুলো পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়াই যথেষ্ট, সাবান দিয়ে ধোয়ার প্রয়োজন নেই।
কোনো তেল বা লোশন যদি চামড়ার ওপর আলাদা আবরণ তৈরি করে, চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেয়, তাহলে ওই আবরণ দূর করে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছাতে হবে।
অজুর সময় অজুর অঙ্গগুলো এবং গোসলের সময় পুরো শরীর সচেতনতার সঙ্গে ভালোভাবে ধোয়া জরুরি যেন কোনো অংশ শুকনো থেকে না যায়। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, এক সফরে রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে রয়ে গিয়েছিলেন। আমরা আসরের নামাজ শুরু করতে দেরি করে ফেলেছিলাম। তিনি যখন আমাদের কাছে পৌঁছলেন, আমরা অজু করছিলাম এবং তাড়াহুড়ার কারণে আমাদের পা মাসেহ করার মত হালকাভাবে ধুয়ে নিচ্ছিলাম। তখন রাসুল (সা.) উচ্চৈস্বরে বললেন, ‘পায়ের গোড়ালির জন্য জাহান্নামের শস্তি রয়েছে।’ দুবার অথবা তিনবার তিনি এ কথা বললেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
অর্থাৎ তিনি তাদেরকে সাবধান করেছেন তারা যেন অজুর অঙ্গগুলো সচেতনতার সঙ্গে ভালোভাবে ধুয়ে নেন, তাহাহুড়োর কারণে কোনো অংশ শুকনো না রেখে দেন।
অজু-গোসলের সময় কিছু অংশ শুকনো থেকে গেলে অজু-গোসল হবে না। এ অবস্থায় নামাজ পড়লে নামাজও হবে না। অজু-গোসল করার পর কোনো অঙ্গের কিছু অংশ শুকনো মনে হলে তা ধুয়ে নিতে হবে। ওমর (রা.) বলেন, একবার এক ব্যক্তি অজু করে এলে দেখা গেলো তার পায়ের এক নখ পরিমাণ জায়গা শুকনো রয়ে গেছে। রাসুল (সা.) তাকে বললেন, ফিরে গিয়ে সুন্দরভাবে আবার অজু করুন। ওই ব্যক্তি ফিরে গিয়ে আবার অজু করে তারপর নামাজ আদায় করলো। (সহিহ মুসলিম)
ওএফএফ/এএসএম
What's Your Reaction?