তেলের লরির চাকায় পিষ্ট শিশু শিক্ষার্থী

1 week ago 8

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় তেলের লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে আবিদা সুলতানা আন্না (৫) নামের এক শিক্ষার্থী ঘটনা স্থলেই নিহত হয়েছে। এসময় সামিয়া (৫) নামের অপর এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। তারা দুজনই মল্লিকচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গুড়া-চাটমোহর মিনি বিশ্বরোডের মল্লিকচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার উপর এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত আবিদা সুলতানা আন্না মল্লিকচক গ্রামের আলিমুল শেখের একমাত্র মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, মল্লিকচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শেষে দুপুর বারোটার দিকে ছুটি হয়। ছুটি পেয়ে শিক্ষার্থীরা ছোটাছুটি করে শ্রেণি কক্ষ থেকে বের হয়। বিদ্যালয়টি ভাঙ্গুড়া-চাটমোহর মিনি বিশ্বরোড সংলগ্ন হওয়াতে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা ওই রাস্তা পারাপার করে থাকে। 

ঘটনার দিন ছুটি শেষে ওই দুই শিক্ষার্থী দৌড়ে রাস্তা পার হতে গেলে তেলের লরিটি চাটমোহর থেকে ভাঙ্গুড়ার দিকে যাওয়ার পথে তাদেরকে চাপা দেয়। এতে চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মাথার মগজ ছিটকে রাস্তায় পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে আন্না নামের ওই শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে থাকা সামিয়া (৫) অপর শিক্ষার্থী  গুরুতর আহত হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

এ ঘটনার পরপরই তেলের লরি রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে যান। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা অপরাধীদের বিচার দাবি করে প্রায় আধা ঘণ্টা রাস্তা আটকে রেখে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাজমুন নাহার, ভাঙ্গুড়া দায়িত্বে থাকা সেনা ক্যাপ্টেন আল-আমিন ও সেনা সদস্যরা ও ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু বিচার করার আশ্বস্ত করলে বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হয়। পরে সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে ওই রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ ঘটনায় ভাঙ্গুড়ার দায়িত্বে থাকা ক্যাপটেন আল-আমিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবাইকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে।

ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িত তেলের লরির ড্রাইভার ও হেল্পার পলাতক থাকায় তেলের লরিটি আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, তিনি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গাড়ির চাপায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে গতিরোধক নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Read Entire Article