মিষ্টি কুমড়া অতিপরিচিত একটি ফল। যদিও আমাদের দেশে এটি সবজি হিসেবেই বেশি পরিচিত। কিন্তু জানেন কি, কুমড়া রূপচর্চায় ব্যবহার করা যায়। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, ব্রণের সমস্যা রোধ, ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া কমাতে খুব ভালো কাজ করে।
মিষ্টি কুমড়ায় আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এছাড়া ভিটামিন এ, ই,সি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক, সেলেনিয়ামের মতো নানা ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদান। যা ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়তে দেয় না। কুমড়ায় থাকা জিঙ্ক সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকেও ত্বকের ক্ষতি রোধ করে।
বাজারে স্কিন ব্রাইটেনিং ও অ্যান্টি-এজিং ক্রিম ও মাস্ক তৈরিতে মিষ্টি কুমড়ার ব্যবহার করা হচ্ছে। কেউ বাজারের প্রসাধনী ব্যবহার করতে না চাইলে, বাড়িতেই মিষ্টি কুমড়ার প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি কুমড়া ত্বকে কীভাবে ব্যবহার করবেন-
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য
২ টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়া, ১ টেবিল চামচ ওটস, ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ১ টেবিল চামচ লাল চিনি, ১ চা চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে করে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করে মিনিট ১৫ রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক বা দুইদিন ব্যবহার করলেই এই প্যাক ত্বকের ময়েশ্চারাইজার স্তর ঠিক রেখে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে
২ টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়া, ২ টেবিল চামচ ডিমের সাদা অংশ, কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসঙ্গে নিয়ে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে ত্বক হবে টান টান। এছাড়া ত্বকে বলিরেখা দূর হবে।
ত্বকে ময়লা দূর করতে
ত্বকে ময়লা জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে গেলে এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। ১ টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়া, ১ টেবিল চামচ টকদই ও ১ চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে উষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যবহারে ত্বক হবে মসৃণ।
মৃতকোষ দূর করতে
আপেল সাইডার ভিনেগার প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে। ২টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়ার পেস্টের সঙ্গে ১ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে সামান্য চিনি দিয়ে মিশ্রণটি ত্বকে ম্যাসাজ করে নিন। এই প্যাক ব্যবহারে ত্বকের মরা চামড়া দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
সূত্র: ওনলি মাই হেলথ, হেলথলাইন,কসমেডিকা স্কিন কেয়ার
আরও পড়ুন
খেজুরের ব্যবহারে ত্বকের অনেক সমস্যা দূর হবে
কনুই ও হাঁটুর কালো দাগ কমানোর সহজ উপায়
এসএকেওয়াই/কেএসকে/এএসএম