তিন সেঞ্চুরির পর বোলার কুপার কনোলির মায়াবি স্পিন জাদু। তাতেই খুব সহজে বশ হয়ে গেলো সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৩১ বিশাল স্কোরের জবাবে মাত্র ১৫৫ রানে অলআউট হয়ে গেলো প্রোটিয়ারা। ম্যাকাইয়ে ২৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে টেম্বা বাভুমার দলকে হারালো অসিরা।
ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ এবং ক্যামেরন গ্রিন- এই তিন টপ অর্ডারের তিনটি সেঞ্চুরির সুবাধে সিরিজের শেষ ম্যাচে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৩১ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে কুপার কনোলির স্পিন ঘূর্ণির মুখে পড়ে ২৪.৫ ওভারে ১৫৫ রানে অলআট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন কনোলি।
একদিনের ক্রিকেটে রানের ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের স্বাদ দিল অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে ২৪৩ রানে হেরেছিল তারা। একদিনের ক্রিকেটে এটা অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়। সবার উপরে রয়েছে, ২০২৩ সালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৩০৯ রানে জয়।
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাজেভাবে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া (australia vs south africa)। যার ফলে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নেয় প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা ৫টি সিরিজ জিতলো টেম্বা বাভুমার দল। শেষ ম্যাচটি ছিল তাই শুধুই নিয়ম রক্ষার।
ম্যাকাইয়েনর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনায় এই নিয়ম রক্ষার ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৩১ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২০০৬ সালের সেই বিখ্যাত ওয়ানডেটার মতোই প্রতিরোধ আশা করেছিল সবাই। কিন্তু এবার আর পারেননি মারক্রাম, রিকেল্টন, টেম্বা বাভুমারা।
কুপার কনোলির (cooper connolly) স্পিন জাদুতে দ্রুতই শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ইনিংসের অর্ধেকও খেলতে পারেনি তারা। ২৪.৫ ওভারেই ১৫৫ রানে শেষ হয়ে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ৩৩ রান করেন টনি ডি জর্জি। কুপার কনোলি ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন হ্যাভিয়ের বার্টলেট ও সিন অ্যাবট। ১টি নেন অ্যাডাম জাম্পা।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই প্রোটিয়া বোলার ওপর ঝড় বইয়ে দিতে শুরু করেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ, মারকুটে ওপেনার ট্রাভিস হেড। উদ্বোধনী জুটিতেই তারা দু’জন মিলে সংগ্রহ করেন ৩৪.১ ওভারে ২৫০ রান।
দুই ওপেনারের মধ্যে বেশি আগ্রাসী ছিলেন ট্রাভিস হেড। তিনি ১৭টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১০৩ বলে ১৪২ রান করেন। মিচেল মার্শ ৬টি বাউন্ডারি এবং ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১০৬ বলে ১০০ করেন। মার্শ এবং হেড- দু’জনই আউট হন।
তিন নম্বরে নামা ক্যামেরন গ্রিন ছিলেন আরও বিধ্বংসী। তিনি অপরাজিত থাকেন। ৬টি বাউন্ডারি ও ৮টি ছক্কায় ৫৫ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অ্যালেক্স ক্যারে ৩৭ বলে থাকেন ৫০ রানে অপরাজিত।
আইএইচএস/