দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘দ্বিতীয় অভ্যুত্থানের’ অভিযোগ বিরোধীদের
উত্তর কোরিয়াপন্থি কমিউনিস্ট শক্তির হাত থেকে দেশ রক্ষার কথা বলে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) হঠাৎ সামরিক আইন জারি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। তবে পার্লামেন্টের বিরোধীদলসহ জনসাধারণের প্রবল চাপের মুখে আবার সেই সামরিক আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি।
সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ইওলকে রাষ্ট্রেরে শীর্ষ পদ থেকে সরানোর ব্যাপারে একজোট হয় রাজনৈতিক দলগুলো। এমনকি প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগের আহ্বান জানায় তার নিজ দলের শীর্ষ নেতারাও।
শুক্রবার সবাইকে সতর্ক করে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হান ডং-হুন বলেন, প্রেসিডেন্ট ইওল দেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এখনো ‘ভয়ঙ্কর ঝুঁকি’ আছে কারণ, প্রেসিডেন্ট আবারও বেসামরিক শাসনকে ধ্বংস করতে পারেন। পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের অভিশংসন প্রস্তাব তোলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবে প্রয়োজনীয়সংখ্যক আইনপ্রণেতা সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।
এরমধ্যে শুক্রবার হঠাৎই টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ক্ষমা চাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব পিছিয়ে দেন স্পিকার। ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দল হয়ত ইয়োলের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসতে যাচ্ছে।
এদিকে আজ সোমবার, দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধীরা ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরে একটি ‘দ্বিতীয় অভ্যুত্থান’ করার এবং প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য অভিশংসন করতে অস্বীকার করার অভিযোগ করেছে।
সিউল থেকে এএফপি জানিয়েছে, ডেমোক্রেটিক পার্টির ফ্লোর লিডার পার্ক চ্যান-ডে অবিলম্বে ক্ষমতাসীন দলকে এটি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘তারা যেভাবেই এটিকে ন্যায়সঙ্গত করার চেষ্টা করুন না কেন, সারমর্মটি অপরিবর্তিত থাকে : এটি একটি বেআইনি, দ্বিতীয় বিদ্রোহ এবং অসাংবিধানিক দ্বিতীয় অভ্যুত্থান প্রক্রিয়া।’