দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে বাড়ছে প্রাণহানি, ঘরছাড়া লাখো মানুষ

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানি বাড়ছে। ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে নতুন করে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ এই দুর্যোগে ঘরছাড়া হয়েছেন লাখো মানুষ। ভিয়েতনামে এখন পর্যন্ত অন্তত ৯১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং ১১ জন এখনো নিখোঁজ। এক সপ্তাহের লাগাতার বর্ষণে দেশটির মধ্যাঞ্চলের প্রায় ৮০০ কিলোমিটার এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ডাক লাক প্রদেশেই ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া খানহ হোয়া, লাম দং, জিয়া লাই, দানাং, হুয়ে ও কোয়াং ত্রি প্রদেশেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আরও পড়ুন>>ভূমিকম্পের ঝুঁকি সবচেয়ে কম কোন দেশে?এবার ভূমিকম্পে কাঁপলো মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়াসুপার টাইফুনে রূপ নিয়েছে ফাং-ওং: ফিলিপাইনে ঘরছাড়া ১০ লাখের বেশি মানুষ একাধিক অঞ্চলের সড়ক প্লাবিত ও ধসে পড়ায় ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জরুরি ত্রাণ পৌঁছে দিতে কর্তৃপক্ষ হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে। খানহ হোয়া প্রদেশের জনপ্রিয় পর্যটন শহর নিহা ত্রাংয়ের বাসিন্দা ফাম থু হুয়েন বলেন, আমরা কখনো এত বেশি বৃষ্টি ও এমন বন্যা দে

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে বাড়ছে প্রাণহানি, ঘরছাড়া লাখো মানুষ

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানি বাড়ছে। ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে নতুন করে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ এই দুর্যোগে ঘরছাড়া হয়েছেন লাখো মানুষ।

ভিয়েতনামে এখন পর্যন্ত অন্তত ৯১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং ১১ জন এখনো নিখোঁজ। এক সপ্তাহের লাগাতার বর্ষণে দেশটির মধ্যাঞ্চলের প্রায় ৮০০ কিলোমিটার এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ডাক লাক প্রদেশেই ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া খানহ হোয়া, লাম দং, জিয়া লাই, দানাং, হুয়ে ও কোয়াং ত্রি প্রদেশেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন>>
ভূমিকম্পের ঝুঁকি সবচেয়ে কম কোন দেশে?
এবার ভূমিকম্পে কাঁপলো মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
সুপার টাইফুনে রূপ নিয়েছে ফাং-ওং: ফিলিপাইনে ঘরছাড়া ১০ লাখের বেশি মানুষ

একাধিক অঞ্চলের সড়ক প্লাবিত ও ধসে পড়ায় ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জরুরি ত্রাণ পৌঁছে দিতে কর্তৃপক্ষ হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

খানহ হোয়া প্রদেশের জনপ্রিয় পর্যটন শহর নিহা ত্রাংয়ের বাসিন্দা ফাম থু হুয়েন বলেন, আমরা কখনো এত বেশি বৃষ্টি ও এমন বন্যা দেখিনি।

প্রবল বৃষ্টিতে ডাক লাকের বিপুল সংখ্যক কফি বাগান পানিতে ডুবে গেছে। অঞ্চলটি ভিয়েতনামের প্রধান কফি উৎপাদনকারী এলাকা হওয়ায় অর্থনৈতিক ক্ষতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এবারের বন্যায় দেশটিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০ কোটি ডলার। তবে এর বাইরে আরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে, থাইল্যান্ডে দক্ষিণাঞ্চলে টানা প্রবল বর্ষণে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। এক সপ্তাহে দক্ষিণের দশটি প্রদেশে প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

শংখলা প্রদেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হাত ইয়াই শহরে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ৩৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, সেখানকার ৩০০ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। টানা তিনদিনে শহরটিতে ৬৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে শত শত পর্যটক ও বাসিন্দা বাড়ি ও হোটেলে আটকা পড়েছেন। জরুরি কর্মীরা নৌকা ব্যবহার করে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।

মালয়েশিয়াতেও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। সমাজকল্যাণ দপ্তর জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত নয়টি রাজ্যে ১২ হাজার ৫০০র বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বন্যায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কেলান্তান রাজ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির আবহাওয়াবিদরা।

সূত্র: এপি
কেএএ/

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow