পূর্ণিমার প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের ১০ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি।
রোববার (১০ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ বেশকটি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে সর্বশেষ রোববার রাত পৌনে ৮টার রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি নদীর পানি পূর্ণিমার প্রভাবে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝালকাঠির বিষখালী পয়েন্টে নদীর বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিষখালী পয়েন্টে নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা-মেঘনা পয়েন্টে নদীর পানি ৩০ সেন্টিমিটার, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা-মেঘনা পয়েন্টে নদীর পানি ৮২ সেন্টিমিটার, ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে তেঁতুলিয়া নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা পয়েন্টে নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিষখালী পয়েন্টে নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী পয়েন্টে নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার, উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার ও পিরোজপুরের বলেশ্বর পয়েন্টে নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বিভিন্ন নদীর পানি বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে নদীর পানি বেড়েছে। তবে বন্যার কোনো প্রভাব নেই।
এমএএইচ/