দর্জির দোকানে পোশাক বানাতে লাগবে বাড়তি টাকা

4 hours ago 5

সারা বছরই কমবেশি ভিড় থাকে দর্জির দোকানে। অনেকেই দর্জির দোকানে গিয়ে মাপ দিয়ে পছন্দমতো জামা-প্যান্ট, থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন পোশাক তৈরি করে নেন। যদিও ঈদের আগে সেটি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এবার সেই ঈদের মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই টেইলারিং শপ ও টেইলার্সে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। ফলে দর্জির দোকানে পোশাক বানাতে এখন থেকে ব্যয় করতে হবে বেশি অর্থ।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এ-সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। তা হলো মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫। এ দুটি অধ্যাদেশ জারির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ গতকাল এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। অধ্যাদেশের পরিবর্তনগুলো সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে কর ও ভ্যাট।

এত দিন টেইলারিং শপ ও টেইলার্সে ভ্যাটের হার ছিল ১০ শতাংশ। এনবিআর এখন সেটি বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছে। ফলে টেইলারিং শপ ও টেইলার্সে ২ হাজার টাকার একটি পোশাক বানাতে ৩০০ টাকা ভ্যাট দিতে হবে। আগে যা ছিল ২০০ টাকা। ফলে খরচ বাড়বে ১০০ টাকা।

দর্জি দোকানে পোশাক বানালে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। তাহলে টেইলার্সে বানানোর ঝামেলায় না গিয়ে রেডি বা তৈরি পোশাক কিনে ফেললে পয়সা সাশ্রয় হয়! তেমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। ব্র্যান্ড ও নন-ব্র্যান্ড সব ধরনের তৈরি পোশাকের দোকানেও ভ্যাট বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে।

আগে এসব দোকানে ভ্যাট ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। এখন সেটি করা হয়েছে ১৫ শতাংশ। তার মানে পোশাক কেনা কিংবা বানানো উভয় ক্ষেত্রেই ভোক্তার খরচ বাড়বে।

Read Entire Article