দশদিন পর আবারো রাখাইনে বিস্ফোরণ, টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক

3 weeks ago 6

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও দেশটির সামরিক বাহিনীর মধ্যে ১১ মাস যুদ্ধের পর আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর, গ্রাম সীমান্তসহ চৌকি ও সেনাক্যাম্প দখলের ১০ দিন ধরে রাখাইন থেকে এপারে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি। কিন্তু বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে টেকনাফ সীমান্ত। এতে নতুন করে সীমান্তের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের বাসিন্দা আমান উল্লাহ বলেন, রাখাইন রাজ্যের শহর-গ্রাম ও সীমান্ত আরাকান আর্মি দখলে নেওয়ার পর ১০ দিন গোলাগুলি বা বিস্ফোরণের শব্দ এপারের টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপে শোনা যায়নি। কিন্তু আজ হঠাৎ মধ্যরাত ২টা থেকে দফায় দফায় ৪-৫টি বিস্ফোরণ হলো, এতে পুরো শাহপরীর দ্বীপ কেঁপে ওঠে। ধারণা করা হচ্ছে জলপথে মিয়ানমারের সরকার যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে এসে এই হামলা করেছে। সারারাত ঘুমাতে পারিনি। নতুন করে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়।

টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা সেলিম উল্লাহ বলেন, আরাকান আর্মির দখলে থাকা রাখাইনের সীমান্ত চৌকি, গ্রাম ও শহর পুনরুদ্ধার করতে মিয়ানমার জান্তা সরকার হামলা চালাতে পারে। কারণ এর আগে আরাকান আর্মি ১১ মাস যুদ্ধ করে জান্তা সরকারের সেনাক্যাম্প, সীমান্তসহ চৌকি গুরুত্বপূর্ণ মংডু শহরের পাশাপাশি অধিকাংশ এলাকা দখল করেছিল। বুধবার নতুন করে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসে টেকনাফ সীমান্তে।

শাহপরীর দ্বীপের জেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে রাতে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসতে থাকে। এতে ঘর থেকে আর বের হতে পারিনি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনের পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সতর্কসহ নাফনদীতে টহল জোরদার করেছেন। এর আগে রাখাইনের মংডু শহর ও বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা রাখাইনের সীমান্ত পুরোপুরি আরাকান আর্মি দখলে নেওয়ার দাবি করলে, তখন বাংলাদেশি জেলেসহ সেন্টমার্টিনে আসা-যাওয়া করা ট্রলারগুলোকে সতর্কভাবে চলাচলের জন্য বলা হয়েছিল। আমরা সব সময় সীমান্ত পরিস্থিতি নজরে রাখছি।

জাহাঙ্গীর আলম/এফএ/জেআইএম

Read Entire Article