দামেস্কের কাছে পৌঁছে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী

2 weeks ago 11

দুঃস্বপ্নের সময় পার করছে সিরিয়ানরা। বাশার আল আসাদের হাত থেকে মুক্তি মিললেও এখন দেশটিতে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এমনকি তারা দামেস্কের খুব কাছে পৌঁছে গেছে। নতুন এই আগ্রাসী বাহিনী যদি দেশটির ওপর ভর করে, তাহলে মোটেও আর শান্তির আশা নেই।

গাজা, লেবাননে রক্ত ঝড়িয়েও যেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর স্বাদ মিটছে না। তাই এবার তার নজর পড়েছে সিরিয়ায়। ইতোমধ্যে দেশটির বিশাল অঞ্চল দখল করে নিয়েছে ইসরায়েল। এমতাবস্থায় নেতানিয়াহু সিরিয়ায় আসলে কী চাইছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

বাশার আল আসাদকে হটিয়ে সিরিয়ার শাসনক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহীরা। হায়াত তাহরির আল শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের জোট দেশটিতে নতুন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীও নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল থেমে নেই। বাশার আল আসাদ পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সিরিয়ার সঙ্গে সীমান্তবর্তী বাফার জোন দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকেই চলছে ইসরায়েলি বিমান হামলা।

মুহুর্মুহু এসব হামলায় সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। বলা হচ্ছে, সিরিয়াকে সামরিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে শত শত কোটি টাকা ঢালতে হবে। শুধু গত ৪৮ ঘণ্টায় সিরিয়ার ভেতর প্রায় ৩০০টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি চলছে স্থল অভিযানও। ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, ইসরায়েলি হামলায় দুর্বল হয়ে পড়েছে সিরিয়ার বিমানবাহিনী। 

মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলি ট্যাংক কুনেইত্রা ছাড়িয়ে এখন সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপশহরে পৌঁছে গেছে। এখন তাদের অবস্থান কাতনা থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার ও দামেস্ক থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আরনা, হিনাহ ও আল-হুসেইনিয়াহর মতো দামেস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরতলী দখল করে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

বিদ্রোহীদের প্রায় দুই সপ্তাহের অভিযানে পতন ঘটে বাশার আসাদের ২৪ বছরের শাসনের। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দখলদারিত্ব বাড়ানোয় মনোযোগী হয় ইসরায়েল। ১৯৭৪ সালের চুক্তি ভেঙে ইসরায়েলি বাহিনী গোলান মালভূমির বাফার জোন দখল করে। এমনকি গোলানের কৌশল মাউন্ট হারমনও দখলে নিয়েছে তারা। সিরিয়ার গোলান মালভূমি আজীবনের জন্য ইসরায়েলের অংশ হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ইসরায়েল নিজের মুখোশ ছেড়ে বেরিয়ে আসায় আঞ্চলিক বিভিন্ন দেশ এর নিন্দা জানিয়েছে। তবে তুরস্ক ও ইরানের নিন্দা নিয়ে ইসরায়েলের কোনো মাথাব্যথা নেই। বরং দেশটি তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এমনকি গাজার প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ জায়গা দখল করে নিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু এ নিয়ে এখনো মুখে কুলুপ এঁটে আছে হায়াত তাহরির আল শাম।

Read Entire Article