দামেস্কের দ্বারপ্রান্তে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা, প্রেসিডেন্ট আসাদ কোথায়?
সিরিয়ার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, যখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা দামেস্কের দিকে এগিয়ে আসছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারি বাহিনী এখনও প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে। তবে বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারা রাজধানী দামেস্কের বিভিন্ন শহরতলি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেছে। এমন একসময়ে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দামেস্ক ছেড়েছেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
তবে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এই গুঞ্জনগুলো অস্বীকার করে জানায়, কিছু বিদেশি গণমাধ্যমে যে খবর ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দামেস্কেই আছেন এবং তিনি জাতীয় ও সাংবিধানিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে, যা দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট দামেস্কে আছেন এবং তার কাজ নিয়মিতভাবে পরিচালনা করছেন। তবে সঠিকভাবে তার অবস্থান সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি, কারণ তিনি কয়েক দিন ধরে জনসমক্ষে আসেননি। খবর সিএনএন।
এদিকে সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি দাবি করেছেন, যোদ্ধারা দামেস্ক ও হোমসের কাছাকাছি পৌঁছেছেন এবং শিগগিরই আসাদ সরকারের পতন ঘটবে।
তিনি আরও জানান, হোমস শহরে প্রবেশ করে তাদের যোদ্ধারা শহরের কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষকে উদযাপন করতে দেখেছে, যাদের দাবি প্রেসিডেন্ট আসাদের পতন।
বিদ্রোহীদের হামলার প্রেক্ষিতে সিরিয়ার সেনাবাহিনী পিছু হটছে এবং দামেস্কের আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, দাবি করেছে স্থানীয় সূত্রগুলো। এর আগে বুধবার থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা আকস্মিক হামলা চালিয়ে আসাদের বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে।
তারও আগে, ২৭ নভেম্বর থেকে হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা সরকারের ওপর আক্রমণ শুরু করে এবং সিরিয়ার বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখল করে নেয়। এরপর, সরকারি বাহিনী মধ্যাঞ্চলীয় হামা শহর থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়।
এভাবে সিরিয়ার পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ঘটছে এবং প্রেসিডেন্ট আসাদ কোথায় আছেন, সে নিয়ে চলমান গুঞ্জনও দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও তীব্র করেছে।