দিনদুপুরে ব্যবসায়ীর টাকার ব্যাগসহ মোটরসাইকেল ছিনতাই
রাজশাহী মহানগরীতে প্রকাশ্যে এক ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেল থামিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে টাকার ব্যাগ ও মোটরসাইকেল ছিনতাই করেছে একদল সন্ত্রাসী। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলিগঞ্জ এলাকার পিঁয়াজের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যবসায়ীর নাম মো. চাঁদ (৩৮)। তিনি রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন মালদা কলোনীর বাসিন্দা মজিবুর রহমানের ছেলে এবং নগরীর শাহ মখদুম থানা মোড় এলাকায় এসআর ট্রেডার্স নামের একটি হার্ডওয়্যার দোকানের স্বত্বাধিকারী। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ব্যবসায়িক কাজ শেষে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা কালেকশন করে কাশিয়াডাঙ্গা থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানের পথে ফিরছিলেন মো. চাঁদ। পথে আলিগঞ্জের পিঁয়াজের মোড়ে পৌঁছালে স্থানীয় কয়েকজন যুবক তার মোটরসাইকেল থামিয়ে দাঁড় করায়। তারা প্রথমে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে নেয় এবং অল্প দূরে সরিয়ে নেওয়ার পর বাঁশের লাঠি দিয়ে চাঁদের মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ছিনতাইকারীরা চেঁচামেচি করে তিনি ‘দুর্ঘটনায় পড়েছে’ বলে চালাতে থাকে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দ্রুত তারা টাকার ব্যাগ ও মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. চাঁদ বলেন, ‘কাশিয়াডাঙ্গা থেকে টাকা কালেকশন করে ফিরছিলাম। পথেই তিন যুবক আমার মোটরসাইকেল থামিয়ে চাবি নিয়ে নেয়। আমি কারণ জানতে চাইলে তারা হামলা চালায়। এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরলে দেখি হাসপাতালে শুয়ে আছি। আমার কাছে থাকা সাড়ে ১২ লাখ টাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে তারা পালিয়েছে। ছিনতাইকারীদের আমি চিনতে পারিনি। তারা এমনভাবে মাথায় আঘাত করেছে আমার নাক দিয়ে অঝরে রক্ত ঝরছে।’
ঘটনাস্থলের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েকজন যুবক প্রথমে ব্যবসায়ীকে থামতে ইঙ্গিত দেন। তিনি থামলে মোটরসাইকেলের সামনে দাঁড়িয়ে চাবি ছিনিয়ে নেন। পরে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে তাকে মাটিতে ফেলে কয়েক দফা আঘাত করেন। কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোকজন দৌড়ে এলে তারা দ্রুত টাকার ব্যাগ ও মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ হয়নি।
পরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. গাজিউর রহমানকেও একাধিকবার কল করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। ফলে এ বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।