ভারতে বিক্ষোভের কারণে সিলেটের জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ভারত থেকে ছয়টন কমলা আমদানি হলেও দিনভর আর কোনো পণ্য আসেনি।
তবে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের পণ্য আমদানি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) অসিত কুমার আচার্য।
জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘ভারতের শ্রীভূমি শুল্ক স্টেশন এলাকায় বিক্ষোভের খবর পেয়েছি। কিন্তু পণ্য আমদানি বন্ধের বিষয়ে সেখান থেকে কেউ অবহিত করেননি। আমাদের স্টেশনে পণ্য আসলে আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় পণ্য খালাস করবো।’
এর আগে সোমবার দুপুরে ‘চল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে ভারতের শ্রীভূমির (করিমগঞ্জ) শুল্ক স্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ সনাতনী ঐক্য মঞ্চ নামের সংগঠন। বিক্ষোভের পর তারা শ্রীভূমি শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন তারা।
তবে সোমবার সকালের দিকে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের শ্রীভূমি (করিমগঞ্জ) থেকে প্রায় ৬ টন কমলা বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে। পরে সেখানকার বিক্ষোভকারীরা আমদানি রপ্তানিসহ সবধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় আর কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। ফলে বাংলাদেশি আমদানি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের এলসি করা মালামালের গাড়ি ভারতের শ্রীভূমি শুল্ক স্টেশন থেকে ফেরত গেছে। এতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
তবে আগামীকাল থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে কী না এ নিয়ে করিমগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের ব্যবসায়ীদের দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের আমদানিকারক সূত্রে জানা গেছে, শ্রীভূমির ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ বাংলাদেশে কাঁচামাল রপ্তানি করতে চাচ্ছে। তবে আরেকটি পক্ষ পণ্য রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ রাখার পক্ষে। এনিয়ে তাদের মধ্যে এখনও মতবিরোধ চলছে। যার কারণে ভারত থেকে পণ্য আমদানি বন্ধের বিষয়টি এখন নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের শ্রীভূমি (করিমগঞ্জ) শুল্ক স্টেশনে সেখানকার বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ করে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এলসি করা মালামালের গাড়ি ফেরত দিয়েছেন। এ নিয়ে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন থেকে শ্রীভূমি (করিমগঞ্জ) শুল্ক স্টেশনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও সেখানকার কর্মকর্তারা সাঁড়া দেননি।
দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনো পণ্য রপ্তানি হয় না। এ স্টেশন দিয়ে শুধুমাত্র পণ্য আমদানি করা হয়। তবে সুতারকন্দি শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশি প্রাণ ও আকিজসহ কয়েকটি কোম্পানির পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়।
আহমেদ জামিল/আরএইচ/এমএস