দিনাজপুরে কাঁচামরিচের কেজি ২৪০

1 month ago 9

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে দিনাজপুরের বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা খুচরা বাজারে কেজির পরিবর্তে গ্রাম হিসেবে কাঁচামরিচ কিনছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে দিনাজপুর শহরের রেলবাজার হাট, বাহাদুর বাজার, উপশহর বাজার, ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড, সুইহারী বাজার ও হাবিপ্রবির সামনে বাঁশের হাট বাজারে খবর নিয়ে এমন চিত্র জানা গেছে।

জানা গেছে, শহরের মধ্যে ঐতিহাসিক সাপ্তাহিক হাট রেলবাজার হাট ও শহরের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার বাহাদুর বাজারে কাঁচামরিচের আমদামি কমে গেছে। যেখানে ২০০ বস্তা মরিচ আসে, সেখানে আমদানি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ বস্তা। অতিবৃষ্টির কারণে মরিচের গাছ মরে যাওয়ায় এবং ফলন কম হওয়ায় মরিচের আমদানি কমেছে।

বাহাদুর বাজারের পাইকারি মরিচ বিক্রেতা মুন্না বলেন, দিনাজপুরের বাজারে দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে। অতি বৃষ্টির কারণে মরিচের গাছ মরে যাওয়া ও ফলন কম হওয়ায় আমদানি কমে গেছে। সে কারণে দাম বেড়েছে।

খুচরা মরিচ বিক্রেতা মো. ফরিদ হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগেও কাঁচামরিচ ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। আজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা।

দিনাজপুরে কাঁচামরিচের কেজি ২৪০

মরিচের দোকানের কর্মচারী আব্দুল আলিম বলেন, এখন আর কেউ কেজি দরে মরিচ কেনে না। সবাই সর্বোচ্চ কিনছেন ৫০ গ্রাম থেকে ১০০ গ্রাম। আমদানি কমেছে, দাম বেড়েছে, বিক্রি কমেছে।

শহরের সাপ্তাহিক হাট রেলবাজার হাটে আসা মেহেদি হাসান বলেন, ১০ টাকা দিয়ে ৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনলাম। দাম বেশি, তাই যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কিনলাম।

বাজারে আসা আঞ্জুমান আরা বলেন, বাধ্য হয়েই কাঁচামরিচ কিনছি। থাইরয়েড রোগী হওয়ার কারণে শুকনা মচির খেতে চিকিৎসক নিষেধ করেছেন। তাই বাধ্য হয়ে এত দামে কাঁচামরিচ কিনছি।

আরেক ক্রেতা সোহরাব হোসেন বলেন, দুই ধরনের কাঁচামরিচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে কারেন্ট মরিচ নামে পরিচিত কাঁচামরিচের ঝাল বেশি হওয়ায় তার দামও বেশি। অন্য জাতের মরিচ ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও কারেন্ট মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি।

এমদাদুল হক মিলন/এফএ/জিকেএস

Read Entire Article