দিনাজপুরে কোরবানির পশু কাটার জন্য চাকু-ছুরির পাশাপাশি খাইট্টা বিক্রি জমে উঠেছে। কেজি ৩৫-৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ‘খাইট্টা’। এবার সর্বনিম্ন পাঁচ কেজি থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত খাইট্টা প্রস্তুত করেছেন ’স মিলসহ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, যারা খাইট্টা বিক্রি করছে তাদের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর। স্কুল-কলেজ ছুটি থাকায় বাড়তি আয়ের আশায় পাড়া-মহল্লায়, মোড়ে ও বাজারে খাইট্টার পসরা সাজিয়ে বসেছে তারা।
স্থানীয়রা জানান, সাধারণত তেঁতুল ও বেলগাছের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় ‘খাইট্টা’। এলাকাভেদে এটি ‘কাটলি’, ‘খুটা’, ‘ডুম’ ইত্যাদি নামে পরিচিত। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এর চাহিদা বেড়েছে। দিনাজপুরের সবখানে ‘খাইট্টা’ বিক্রি হচ্ছে।

মানিক হোসেন নামের একজন বিক্রেতা জানান, একটা খাইট্টা অনেক দিন চলে। সবসময় এটি বিক্রি হয় না। সাধারণত স্থানীয় কসাইরা এর মূল ক্রেতা। তবে যারা কোরবানি দেন বাধ্য হয়ে তাদেরও কিনতে হয় খাইট্টা। তাই কোরবানির ঈদে এর চাহিদা বাড়ে। কাঠভেদে এটির দামের ভিন্নতা রয়েছে। তবে দিনাজপুরে তেঁতুল ও বেলগাছের খাইট্টাই বেশি পাওয়া যায়।
ইউনুস আলী নামের আরেক বিক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে আমরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তেঁতুল ও বেলগাছ কিনে করাত দিয়ে কেটে ‘খাইট্টা’ তৈরি করি। বাজারে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আকার-আকৃতি অনুযায়ী একেকটি খাইট্টার ওজন ৫-২০ কেজি পর্যন্ত হয়।’

পুলহাট এলাকার বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, এবার বেচাকেনা ভালো। ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে তেঁতুল ও বেলগাছের সংকট থাকায় চাহিদা অনুযায়ী ‘খাইট্টা’ প্রস্তুত করা সম্ভব হয় না। শেষ সময় অনেকে এসে খালি হাতে ফিরে যান।
একটি ’স মিলের মালিক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগে থেকেই তেঁতুল ও বেলগাছ কিনে রাখি। ঈদুল আজাহার আগে ‘খাইট্টা’ প্রস্তুত করা হয়। এতে লাভও ভালো হয়। মানুষ বেশি দামাদামি করে না।

পুলহাটে বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে ‘খাইট্টা’ সাজিয়ে বসে ছিল স্কুলছাত্র তৌফিক। সে জানায়, স্কুল বন্ধ থাকায় ‘খাইট্টা’ বিক্রি করছে। এতে তার ঈদের খরচ বের হয়ে যাবে।
শামসুল আলম নামের একজন ক্রেতা বলেন, দুই বছর আগে একটি তেঁতুল কাঠের ‘খাইট্টা’ নিয়েছিলাম। কিন্তু যত্নের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এবার আবার ১২ কেজি ওজনের একটি ‘খাইট্টা’ কিনলাম।
এমদাদুল হক মিলন/এসআর/এমএস

 4 months ago
                        53
                        4 months ago
                        53
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·