দিনাজপুরে সাবেক সেটেলমেন্ট অফিসারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সাবেক সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার একেএম এনায়েতুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুদকের দিনাজপুর জেলা কার্যালয় এ মামলাটি দায়ের করেছে। আসামি একেএম এনায়েতুর রহমান (৬৪) পার্বতীপুর উপজেলার উচুটিয়া গ্রামের মৃত গহের আলীর ছেলে। দুদক জানায়, এনায়েতুর রহমান ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নিজ নামে ১ কোটি ৯৯ হাজার ২৫৭ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রাখেন। এছাড়া তিনি ২৫ লাখ ৮৫ হাজার ১৫০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে কমিশনে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুদক জানায়, সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাইয়ে দেখা গেছে যে, এনায়েতুর রহমান তার দাখিলকৃত হিসাবের তুলনায় অতিরিক্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেন। তদন্তে দেখা গেছে, তার নিকট মোট ১ কোটি ৮১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬২ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে যা দাখিলকৃত বিবরণীর চেয়ে বেশি। এছাড়া, গ্রহণযোগ্য আয়, ব্যয় এবং সম্পদ হিসাব বিশ্লেষণে তার আয়ভুক্ত না হওয়া ১ কোটি ৯৯ হাজার ২৫৭ টাকা মূল্যের সম্পদের উৎস সম্পর্কে

দিনাজপুরে সাবেক সেটেলমেন্ট অফিসারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

 

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সাবেক সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার একেএম এনায়েতুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

রোববার (২৩ নভেম্বর) দুদকের দিনাজপুর জেলা কার্যালয় এ মামলাটি দায়ের করেছে।

আসামি একেএম এনায়েতুর রহমান (৬৪) পার্বতীপুর উপজেলার উচুটিয়া গ্রামের মৃত গহের আলীর ছেলে।

দুদক জানায়, এনায়েতুর রহমান ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নিজ নামে ১ কোটি ৯৯ হাজার ২৫৭ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রাখেন। এছাড়া তিনি ২৫ লাখ ৮৫ হাজার ১৫০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে কমিশনে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

দুদক জানায়, সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাইয়ে দেখা গেছে যে, এনায়েতুর রহমান তার দাখিলকৃত হিসাবের তুলনায় অতিরিক্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেন।

তদন্তে দেখা গেছে, তার নিকট মোট ১ কোটি ৮১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬২ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে যা দাখিলকৃত বিবরণীর চেয়ে বেশি।

এছাড়া, গ্রহণযোগ্য আয়, ব্যয় এবং সম্পদ হিসাব বিশ্লেষণে তার আয়ভুক্ত না হওয়া ১ কোটি ৯৯ হাজার ২৫৭ টাকা মূল্যের সম্পদের উৎস সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি যা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের শামিল।

এ বিষয়ে দুদক দিনাজপুর কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোছা. কামরুন্নাহার সরকার বাদী হয়ে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নূর আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এমদাদুল হক মিলন/এনএইচআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow