দিনাজপুরে একদিনে বিভিন্ন ঘটনায় চার উপজেলায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে হাকিমপুর ও কাহারোলে তিনজন ও বীরগঞ্জে ভিজিএফের চাল নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে একজন মারা যান। এছাড়া খানসামায় এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে।
রোববার (২৩ মার্চ) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রোববার দুপুরে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার চৌধুরী ফিলিং স্টেশনের একটি তেলবাহী লরি পার্বতীপুরে তেল নিতে যাচ্ছিলো। পথে হিলি বিরামপুর আঞ্চলিক সড়কের লোহাচড়া এলাকায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পাশের খাদে পড়ে। এতে চালকের সহকারী জয়পুরহাট পাঁচবিবি উপজেলার মাথখুর এলাকার সুরত আলী মণ্ডলের ছেলে রাসেল ইসলাম (৪৫) ও তেলপাম্পের ব্যবস্থাপক পুরানাপুল এলাকার সাব্বির হোসেন (৪০) ঘটনা স্থলে নিহত হন।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি থাকা সঞ্জয় রায় (২০) রোববার দুপুরে মারা যান। তিনি কাহারোল উপজেলার তারগাঁও ইউনিয়নের ছাতইল গ্রামের নরেন চন্দ্ররায়ের ছেলে। শনিবার (২২ মার্চ) মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন তিনি।
বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১০ কেজি ভিজিএফের চাল নিতে যান এছাদ্দিন আলী (৮০)। এসময় তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। উপস্থিত লোকজন তাকে ভ্যান করে হাসাপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তিনি ওই ইউনিয়নের ঘোড়াবান্দ সাহাপাড়া গ্রামের মৃত সুরুভায়ার উদ্দিনের ছেলে।
রোববার দুপুরে খানসামার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের সরকার পাড়ায় বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে জনক চন্দ্র রায় (১৬) নামে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে। সে এলাকার ছত্র মোহন রায়ের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নষ্ট মোবাইল ফোন ঠিক করার জন্য মায়ের কাছে টাকা চায় জনক। মায়ের কাছে টাকা না থাকায় তিনি কয়েকদিন পরে দিতে চান। এ নিয়ে অভিমান করে বাড়িতে থাকা ইঁদুরের গর্তের মধ্যে দেওয়া গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে। তাকে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
হাকিমপুর, কাহারোল, বীরগঞ্জ ও খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এমদাদুল হক মিলন/এমএন/জেআইএম