দিয়াবাড়ীতে রাস্তায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ২০ স্থাপনা উচ্ছেদ

4 months ago 53

রাজধানীর দিয়াবাড়ী, তারারটেক, নিমতলীরটেক, রাজাবাড়ী এলাকার রাস্তায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা অন্তত ২০টি স্থাপনার অংশ ভেঙে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এসব স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এলাকায় নির্মাণকাজ পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

দিয়াবাড়ীতে রাস্তায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ২০ স্থাপনা উচ্ছেদ

ডিএনসিসি মেয়র বেলা সাড়ে ১১টায় উত্তরা খালপাড় এলাকা থেকে পরিদর্শন শুরু করে দিয়াবাড়ী, তারারটেক, নিমতলীরটেক, চন্ডালভোগ, রানাভোলা, ফুলবাড়িয়া, ধউর, বামনারটেক, কামারপাড়া, কালিয়ারটেক, খায়েরটেক, ভাটুলিয়া, নয়ানীচালা, রাজাবাড়ী গিয়ে বিকেল ৩টায় পরিদর্শন শেষ করেন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘নতুন ওয়ার্ডে পুরোদমে রাস্তা ও ড্রেনেজের কাজ চলছে। নির্মাণকাজ চলায় মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। আমরা চাই না জনগণকে কষ্ট দিতে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এই নির্মাণকাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।’

রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘সবাই বলছে যেন দ্রুত রাস্তা নির্মাণ করি। কিন্তু সবাই যদি রাস্তা নির্মাণের জন্য জায়গা ছেড়ে না দেন তাহলে কাজের গতি বাড়ানো সম্ভব হয় না। দয়া করে রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা ছেড়ে দিন। অল্প সংখ্যক মানুষ রাস্তার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখে লাখ লাখ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন। এটা হতে পারে না। বিপুল সংখ্যক মানুষের সুবিধার জন্য অবৈধ দখলমুক্ত করে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ করা হবে। আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য, কাউন্সিলর, এলাকার মুরুব্বি, যুবসমাজ সবাইকে নিয়ে উচ্ছেদ করে রাস্তা নির্মাণ করবো।’

দিয়াবাড়ীতে রাস্তায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ২০ স্থাপনা উচ্ছেদ

মেয়র আরও বলেন, ‘আমি আহ্বান করছি আপনার নিজ দায়িত্ব আপনাদের স্থাপনা সরিয়ে নিন, বাড়ির অবৈধ অংশটুকু ভেঙে জায়গা ছেড়ে দিন। আপনারা জনগণের স্বার্থে সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করুন। টেকসই উন্নয়নের জন্য ড্রেনে প্রায় ছয় ফুট ব্যাসের পাইপ বসানো হচ্ছে। স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ড্রেন নির্মাণ করে তারপর রাস্তা নির্মাণ হবে। আগে কখনো পরিকল্পিতভাবে ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ হয়নি। নভেম্বরের মধ্যে নতুন ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেনেজের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবে। জলাবদ্ধতার সমস্যা স্থায়ী সমাধান হবে।’

পরিদর্শনকালে অন্যদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দীন, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর কমলা রানী মুক্তা।

এমএমএ/বিএ/জিকেএস

Read Entire Article