দীর্ঘ দুই বছর পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন নাসির হোসেন। একসময় জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত এই ক্রিকেটার ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সম্প্রতি আবারও মাঠে নামেন তিনি। তবে ফিরে আসাটা যতটা আনন্দের, ততটাই হতাশাও রয়ে গেছে তার কণ্ঠে।
‘অবশ্যই ভালো লাগছে,’ বললেন নাসির, ‘যেই জিনিসটা মিস করছিলাম, ক্রিকেট খেলা। তাই অবশ্যই খুব ভালো লাগতেছে অনেক দিন পর ক্রিকেট খেলে। এই তো!’
দীর্ঘ সময় পরিবারে কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। বলেন, ‘বাইরে ছিলাম। বিন্দাস ছিলাম। পরিবারের সঙ্গে ছিলাম। ভালো ছিলাম আলহামদুলিল্লাহ্। খেলা মিস করেছি ঠিক আছে, তবে পরিবারের সঙ্গে ছিলাম। ভালোই ছিলাম।’
প্রায় দুই বছর পর আবার ব্যাগ গুছিয়ে মাঠে ফেরার অনুভূতিকে কিছুটা ‘নতুন’ বলেই মনে হয়েছে তার কাছে, ‘অভিষেক ম্যাচের মতো না লাগলেও অনেক কিছু নতুন লাগছিল। লাগেজ গোছানো, ব্যাগ গোছানো, পুরনো প্রস্তুতিগুলো আবার করতে হয়েছে। ভালোই লাগছিল। যদি ভালো পারফর্ম করতে পারতাম, আরও ভালো লাগত।’
নিজের ক্যারিয়ারকে ‘আনলাকি’ বলেই মনে করেন নাসির। বলেন, ‘আমি অনেক আনলাকি! নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরদিনই ম্যাচ ছিল, তাই খেলতে পেরেছি। আরও অনেক দলের প্রস্তাব ছিল, তবে আমার মনে হয়েছে, এই দলে খেললে আমার জন্য ভালো হবে।’
তিনি জানান, অনেক দল তাকে প্রস্তাব দিলেও কেউ সিরিয়াস ছিল না, ‘আমি কোনো দলের অপশন হয়ে থাকতে চাই না। অনেকে শুধু প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু আর কিছু দেয়নি।’
জাতীয় দলে ফেরার ইচ্ছা তার এখনো অটুট। বিশ্বাস করেন, পারফর্ম করলে সুযোগ আসবেই। কিন্তু আক্ষেপও আছে, ‘বিপিএলে ভালো খেলার পরও আমাকে ‘এ’ দল, টাইগার্স বা প্রস্তুতি ম্যাচে ডাকা হয়নি। তাহলে জাতীয় দলে খেলব কীভাবে?’
নির্বাচকদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নাসির। বলেন, ‘বাইরের দেশে দুই বছর পরপর নির্বাচক বদলায়। তাহলে কারও চোখে যাকে ভালো লাগে না, তারও সুযোগ থাকে। কিন্তু ৯-১০ বছর ধরে যদি এক নির্বাচক থাকে, তাহলে যাকে তার ভালো লাগে না, তার ক্যারিয়ারই প্রায় শেষ। আমি মনে করি, আমার ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে।’