দীর্ঘ ১৮ বছর পর প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক
২০০৭ সালে সরকার পরিবর্তনের গ্যাঁড়াকলে বাতিল হয় আলোচিত ২৭তম বিসিএস। দীর্ঘ ১৮ বছরের রুদ্ধশ্বাস আইনি লড়াই শেষে অবশেষে জয়ের হাসি হাসলেন নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের বীরকান্দা গ্রামের মরহুম আব্দুর জলিল বেস্তীর একমাত্র ছেলে সাজ্জাদুর রহমান (মিঠু)।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৬৭৩ প্রার্থীকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই নিয়োগ তালিকার সবচেয়ে আলোচিত নাম হয়ে উঠেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান মিঠু।
২০০৫ সালের ৯ অক্টোবর হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত নিজ এলাকা বীরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সাজ্জাদুর রহমান বেলাবো সরকারি পাইলট মর্ডান সরকারি মডেল হাই স্কুল থেকে এসএসসি, নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি, পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। দীর্ঘ ১৮ বছর আগের সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে ধরা দেওয়ায় আবেগে আপ্লুত সাজ্জাদুর রহমান ও তার পরিবার।
তিনি জানান, এই রায় কেবল তাদের ব্যক্তিগত জয় নয়, বরং এটি পিএসসির মতো একটি স্বাধীন সংস্থার
২০০৭ সালে সরকার পরিবর্তনের গ্যাঁড়াকলে বাতিল হয় আলোচিত ২৭তম বিসিএস। দীর্ঘ ১৮ বছরের রুদ্ধশ্বাস আইনি লড়াই শেষে অবশেষে জয়ের হাসি হাসলেন নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের বীরকান্দা গ্রামের মরহুম আব্দুর জলিল বেস্তীর একমাত্র ছেলে সাজ্জাদুর রহমান (মিঠু)।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৬৭৩ প্রার্থীকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই নিয়োগ তালিকার সবচেয়ে আলোচিত নাম হয়ে উঠেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান মিঠু।
২০০৫ সালের ৯ অক্টোবর হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত নিজ এলাকা বীরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সাজ্জাদুর রহমান বেলাবো সরকারি পাইলট মর্ডান সরকারি মডেল হাই স্কুল থেকে এসএসসি, নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি, পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। দীর্ঘ ১৮ বছর আগের সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে ধরা দেওয়ায় আবেগে আপ্লুত সাজ্জাদুর রহমান ও তার পরিবার।
তিনি জানান, এই রায় কেবল তাদের ব্যক্তিগত জয় নয়, বরং এটি পিএসসির মতো একটি স্বাধীন সংস্থার স্বচ্ছতা ও বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকার অর্পিত দায়িত্ব পালন করে দেশের সুনাম বয়ে আনতে চাই।
জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের শেষ দিকে এই বিসিএসের প্রক্রিয়া শুরু হলেও ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করা হয়েছিল। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে চলা এই আইনি লড়াইয়ের পর গত ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে প্রথম সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগের পথ প্রশস্ত করেন। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যেন সেই দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান ঘটল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নবনিয়োগপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তাকে আগামী ১ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য বলা হয়েছে।