পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে ঢাকার দুই সিটির দু-একটি জায়গা ছাড়া অধিকাংশ এলাকায় পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) ঢাকার ওয়ারী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, ধোলাইপাড়, শনিরআখড়া ঘুরে বর্জ্য অপসারণের চিত্র দেখা গেছে। তবে শনিরআখড়া হাটসহ কয়েকটি এলাকার গলিতে বর্জ্য জমে থাকতে দেখা গেছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেখানে কাজ করছেন।
ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার কেউ কেউ পশু কোরবানি করেছেন। ফলে সেই বর্জ্যও জমছে অনেক জায়গায়। সেগুলো পরিষ্কারেও কাজ করছে দুই সিটি করপোরেশন।
নগরের বাসিন্দারা বলছেন, আগের তুলনায় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আগে দিনের পর দিন বর্জ্য পড়ে থাকলেও পরিষ্কার করা হতো না। কিন্তু এখন সেই চিত্র পাল্টেছে।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জানান, আজ অনেকে পশু কোরবানি করায় সেগুলোর বর্জ্য জমে আছে। তবে দ্রুত সেগুলো অপসারণের কাজ চলছে।
দক্ষিণ সিটির পরিচ্ছন্নতাকর্মী সবুজ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা গতকাল (সোমবার) সকাল থেকে কাজ করছি। আজ আবার দ্বিতীয় দিন যারা কোরবানি দিচ্ছে সেগুলোও পরিষ্কার করছি। এগুলা করতে বেশি সময় লাগবে না।
শনিরআখড়া বাসিন্দা মুজিবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আগে কয়েকদিন ময়লা পড়ে থাকলেও দেখার কেউ ছিল না। কিন্তু এখন চিত্র ভিন্ন। কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করে সিটি করপোরেশন। এখন আর নালায় আবর্জনার স্তূপ জমে না। নাক চেপে রাস্তায় ঘুরতে হয় না। সে হিসেবে বেশ ভালো কাজ হচ্ছে বলা যায়।
উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের পূর্ব ঘোষিত ৬ ঘণ্টায় শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে। মেয়র বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং সরাসরি তদারকি করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের সব ওয়ার্ড থেকে কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের। তিনি জানান, সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটে মধ্যে ৬টি হাট থেকে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
আইএইচআর/এমআইএইচএস/জিকেএস