আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলামের স্মরণ সভায় এ কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অনেকে শহীদ হয়েছেন। দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে গিয়ে তারা শুধু দুই মাসের জন্য শহীদ হয়েছেন, তা নয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, নিজেদের ভোটের অধিকার ফেরানো এবং আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের অবসানে গত ১৪/১৫ বছর ধরে দেশের মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। গুম-খুন হয়েছেন, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
অনুষ্ঠানে মরহুমের জীবন-কর্মের নানাদিক তুলে ধরে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক, কূটনীতিকসহ তার বন্ধু-বান্ধবরা।
‘দি ঢাকা ফোরাম’ (টিডিএফ)-এর আয়োজনে এই স্মরণ সভায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরীসহ অন্যরা বক্তব্য দেন এবং তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ করেন।
স্মরণ সভায় বিএনপির অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিনু, আবদুল হালিম, আবদুল কাইয়ুম, নজমুল হক নান্নু, সুজা উদ্দিন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নূর মোহাম্মদ খান, জহির উদ্দিন স্বপন, শামা ওবায়েদ, এবি পার্টির ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাবেক কূটনীতিক ইফতেখার করীম, শাহেদ আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত সিরাজুল ইসলামের সহধর্মিণী নাসরিন ফোজিয়া, দুই কন্যা মৌসুমী ইসলাম সাবরিনা ও নওরিনসহ মরহুমের স্বজনরা ছিলেন।
গত ১১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা যান সিরাজুল ইসলাম। ১৮ আগস্ট তাকে ঢাকার বনানীতে দাফন করা হয়।
কেএইচ/এমআরএম/এমএস