দুই সংসার ভেঙে গেছে রুমীর, মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছে পরিবার

রাজধানীর জিগাতলায় নারী হোস্টেল থেকে এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমীর (৩২) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ইতোমধ্যে মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরেই তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমা বেগম। একই থানার উপ-পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান জানান, রুমীর বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে। বাবার জাকির হোসেন। রুমী ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নার্সিংয়ে পড়ালেখা শেষ করেছেন। এরপর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করছিলেন। তবে বর্তমানে কোথায় চাকরি করতেন, নাকি বেকার ছিলেন তা জানাতে পারেননি তিনি। এদিকে, রুমীর মৃত্যুতে তার পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে। তার চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান জানান, জিগাতলার ওই বাসায় একটি মেসে থাকতেন রুমী। তার ২টি বিয়ে হয়েছিল। দুই সংসারই ভেঙে গেছে। দুই সংসারে দুটি সন্তানও রয়েছে তার। বাচ্চারা তাদের বাবার কাছে থাকে। তিনি আরও বলেন, শুনেছি রুমীর রুমমেট বাড়িতে গিয়েছে। বুধবার রাতে একাই ছিলেন রুমী। তবে এক

দুই সংসার ভেঙে গেছে রুমীর, মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছে পরিবার

রাজধানীর জিগাতলায় নারী হোস্টেল থেকে এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমীর (৩২) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ইতোমধ্যে মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরেই তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমা বেগম। একই থানার উপ-পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান জানান, রুমীর বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে। বাবার জাকির হোসেন। রুমী ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নার্সিংয়ে পড়ালেখা শেষ করেছেন। এরপর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করছিলেন। তবে বর্তমানে কোথায় চাকরি করতেন, নাকি বেকার ছিলেন তা জানাতে পারেননি তিনি।

এদিকে, রুমীর মৃত্যুতে তার পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে। তার চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান জানান, জিগাতলার ওই বাসায় একটি মেসে থাকতেন রুমী। তার ২টি বিয়ে হয়েছিল। দুই সংসারই ভেঙে গেছে। দুই সংসারে দুটি সন্তানও রয়েছে তার। বাচ্চারা তাদের বাবার কাছে থাকে।

তিনি আরও বলেন, শুনেছি রুমীর রুমমেট বাড়িতে গিয়েছে। বুধবার রাতে একাই ছিলেন রুমী। তবে একই ফ্ল্যাটে পাশের রুমে অন্য রুমমেটরা ছিলেন। রাতে কাজের বুয়া ৫ম তলায় তাদের ফ্ল্যাটের সামনে গেলে দরজা খোলা দেখতে পান এবং ভিতরে বাতি জ্বলতে দেখেন। এরপর ভিতরে উঁকি দিলে রুমীকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনিই সবাইকে ডেকে তুলেন বলে শুনেছি।

কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বজনরা বলেন, সাংসারিক বা পারিবারিক বিষয়ে হতাশা থেকে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন রুমী। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানান তারা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow