দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন

ঘুস নেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের নামে মামলা হবে।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার অনুমোদন দেওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার (২৪ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র।

ঘুস গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে দুদক। ওই একই সময়ে উপ-সহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরীকেও বরখাস্ত করা হয়।

ওই বছরের ১২ জুলাই এ দুই কর্মকর্তাকে নিজ কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছিল।

সাময়িক বরখাস্তের আদেশে বলা হয়েছিল, পাবনায় উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অফিস কক্ষে মো. সামছুল হক নামে এক ব্যক্তির কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। পরে তিনি ৭৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। গত বছরের ২৬ জুন এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ দেশের দুটি বেসরকারি টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রচার হয়।

ওই ফুটেজে দেখা যায়, মেসার্স হক টাইল লিমিটেডের মালিক মো. সামছুল হকের কাছ থেকে ঘুস গ্রহণ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। এ বিষয়ে গত বছরের ২৮ জুন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছিল।

মোস্তাফিজুর রহমান ঘুস গ্রহণ করে চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করেছেন। এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সে কারণে দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮ এর ৩৯(খ) ও ৩৯(ঙ) বিধি মোতাবেক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা (নম্বর ০৮/২-২৩) করা এবং ওই বিধিমালার ৪৩(১) বিধি অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যুক্তিযুক্ত ও অপরিহার্য বলে মনে করছে কমিশন।

এসএম/জেডএইচ/জেআইএম