‘দুর্বল ব্যাংক বাঁচাতে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা যাবে না’

3 months ago 33

দুর্বল ব্যাংক বাঁচাতে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, নিজেদের কারণে তারল্য সংকটে থাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে অর্থের জোগান দেওয়া হচ্ছে। তার মানেটা হলো, এক হাতে আটকে রাখছি, আরেক হাতে ছাড়ছি। তাহলে তো হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংককে এ তারল্য জোগান দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

বুধবার (১২ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশান পুলিশ প্লাজায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে এমসিসিআই ও পিআরআই।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাজেটের আকার ছোট হলেও অর্থায়নে বিরাট সমস্যা রয়ে গেছে। বড় সমস্যা হচ্ছে, ব্যাংক খাত থেকে সরকারকে টাকা নিতেই হবে। আমাদের আপত্তির কিছু নাই। তবে ব্যাংকিং খাত তো সবল নয়। ব্যাংকিং খাতটা দুর্বল।

তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর আমানতের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ। গত বছর তারচেয়ে কম হয়েছে। তার আগের বছর সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এবার যদি ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়, তাহলে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আমানত আসবে। সরকার যদি সেখান থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে নেয়, তাহলে ব্যক্তি খাতের জন্য থাকে ২০ শতাংশ। সরকার যদি একা ব্যাংক খাত থেকে ৮০ শতাংশ ঋণ নিয়ে নেয়, তাহলে সে দেশ চলতে পারে না।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান। ঋণের অর্থে মানসম্পন্ন খাতে বিনিয়োগ হলে পরিশোধে ঝুঁকি হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মনে করি, এবারের বাজেটে অর্থনীতির সমস্যাগুলো চিহ্নিত হয়েছে এবং তা সমাধানের উদ্যোগ আছে। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯/৬ সুদ থেকে বেরিয়ে বাজারভিত্তিক করেছে সুদহার। ডলারের দরও বাজারভিত্তিক হচ্ছে। বেসরকারি খাতকেও দক্ষতার সঙ্গে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন এমসিসিআই চেম্বারের সভাপতি কামরান টি রহমান। অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার, এমসিসিআইয়ের ট্যারিফ ও ট্যাক্সেশন কমিটির সদস্য আদিব এইচ খান। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন এমসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম।

এএএইচ/এমএইচআর/জিকেএস

Read Entire Article