লেবানন ও সিরিয়ায় বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে ইরান। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল। সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বাশার আল আসাদ। এখন এটাকেই সুযোগ হিসেবে দেখছে ইসরায়েল। দেশটির অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা কর্মকর্তা সেই সুযোগ লুফে নেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
বাশার আসাদের পতনে দুর্বল হয়ে গেছে প্রতিরোধের অক্ষ। এ ঘটনাকে ঐতিহাসিক হিসেবে দেখছেন ইসরায়েলের সাবেক অপারেশন্স কমান্ড চিফ মেজর জেনারেল (অব.) ইসরায়েল জিভ। রোববার এ নিয়ে তিনি জেরুজালেম পোস্টকে এক সাক্ষাৎকারও দেন। তার ভাষায়, দুর্বল হয়ে যাওয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে এখনই হামলা চালানোর মোক্ষম সময়।
আগামী মাসেই হোয়াইট হাউসের মসনদে বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা ইসরায়েলের জন্য দারুণ খবর। কারণ গেল কয়েক বছর বিভিন্ন সময় ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালাতে চেয়েছিল ইসরায়েল। কিন্তু এমন হয়েছে ইসরায়েল প্রস্তুত থাকলেও রাজি হয়নি যুক্তরাষ্ট্র। আবার দুপক্ষ যখন রাজি হয়েছে, তখন ভয় ছিল ইরানের প্রক্সিরা হামলা চালাবে।
এখন বাশার আসাদ নেই। লেবাননেও দুর্বল হয়ে পড়েছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সুযোগ বুঝে যদি ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালানো যায়, তাহলে মন্দ হবে না। জিভের ভাষায়, অবশ্য এ কাজ একা করতে পারবে না ইসরায়েল। এজন্য সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে নিতে হবে। কারণ ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে আঘাত হানতে বিমান হামলায় ইসরায়েলের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৩০ হাজার পাউন্ডে বোমা রয়েছে। ওই এক বোমা দিয়েই পাহাড়ের নিচে থাকা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু ইসরায়েলের হাতে এ ধরনের বিধ্বংসী কোনো বোমা নেই। আবার এই বোমা ফেলার মতো যুদ্ধবিমানও নেই ইসরায়েলের কাছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলের উদ্ধার হবে না।
এখানেই থেমে থাকছেন না জিভ। প্রস্তাব দিয়েছেন স্বাধীন কুর্দিস্তান প্রতিষ্ঠার। সিরিয়া ভেঙে টুকরো টুকরো করলে তো আখেরে লাভ ইসরায়েলেরই। কিন্তু মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কেয়ামত নিয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, তা ঘটার জন্য হলেও শাম অঞ্চলের এই ঘটনাবলি চলমান থাকবে। আর সেই নির্ধারিত দিন আসার আগে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে বিজয় ঘটবে মুসলিমদের।