উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৬ মিনিটের দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে, রাত ৮টা ১৪ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন খালেদা জিয়া।
বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা শেষে সুস্থভাবে দেশে ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করে দেশবাসীকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পতিত জালিম স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। গণতন্ত্রের জন্য এবং দেশকে ভালোবাসার অপরাধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তিনি দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। নিজের স্বামীর স্মৃতি চিহ্ন সেনানিবাসের বাড়ি হারিয়েছেন। জালিমের অত্যাচারে বড় ছেলে তারেক রহমান এখনো দেশের বাহিরে। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতনে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। গত ১৭ বছর ধরে লড়েছেন গণতন্ত্রের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। আজ মুক্ত বাতাসে লাখো লাখো জনতার অভ্যর্থনায় তিনি বিমানবন্দরে যান।
বেগম খালেদা জিয়া যেন উন্নত চিকিৎসা শেষে সুস্থভাবে দেশে ফিরে আসতে পারেন সে জন্য দেশবাসীর নিকট মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রত্যেক মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় দোয়া করার আহ্বান জানান কায়কোবাদ। এ সময় বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া মানেই বাংলাদেশ। খালেদা জিয়াই গণতন্ত্রের মানসকন্যা। তিনি ফিরবেন সুস্থ হয়ে গণতন্ত্র রক্ষার মূর্তপ্রতীক হয়ে, ইনশাআল্লাহ।