দেশে প্রথমবার রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পাঁচজনের শরীরে এ ভাইরাস পেয়েছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)।
তবে কারও ক্ষেত্রে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন সবাই। ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে প্রতিবছর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হন অনেকে। তেমন লক্ষণ দেখে সম্প্রতি ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে আইইডিসিআর। এদের মধ্যে নিপাহ ভাইরাস না মিললেও পাঁচজনের শরীরে পাওয়া গেছে রিওভাইরাস। নতুন রোগজীবাণু অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আইইডিসিআরের নিয়মিত গবেষণায় শনাক্ত হলো এ ভাইরাস।
- আরও পড়ুন
এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
শীতকালীন ডায়রিয়া রোগী নিয়ে হিমশিম অবস্থা, ৮০ শতাংশই শিশু
রিওভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। আক্রান্ত হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, জ্বর, মাথাব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। মারাত্মক হলে নিউমোনিয়া, এমনিক এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা।
অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন আরও বলেন, দেশে অনেক এনকেফালাইটিস রোগী পাওয়া গেছে। কিন্তু এর কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। এই গবেষণা এসব রোগীর চিকিৎসায় কাজে দেবে।
বিশ্বে প্রথম রিওভাইরাস শনাক্ত হয় ১৯৫০ সালে। প্রতিবছর শীতকালে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ে।
এএএম/কেএসআর