মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে যেন এক ইতিহাসের সাক্ষী হলো আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে দেশের মাটিতে ছিল লিওনেল মেসির শেষ ম্যাচ। আর বিদায়ী রাতটা গোল ছাড়া যে অসম্পূর্ণ থেকে যেত, সেটা যেন নিজেই বুঝেছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে জুলিয়ান আলভারেজের নিখুঁত পাস থেকে মেসি উপহার দিলেন এক অনবদ্য ফিনিশ—একটি দারুণ চিপ শট, যা মুহূর্তেই উল্লাসে মাতালো গ্যালারির ৮০ হাজার দর্শক।
গোলটির সৌন্দর্য ছিল যেমন অনন্য, তেমনি এর পেছনে লুকিয়ে ছিল আবেগঘন ইতিহাস। প্রায় দুই দশক আগে ভেনেজুয়েলাই ছিল সেই প্রতিপক্ষ, যাদের বিপক্ষে বাছাইপর্বে প্রথম গোল করেছিলেন মেসি। আবার ডিয়েগো ম্যারাডোনার অধীনে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথমবার ১০ নম্বর জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধেই, যেখানে গোল দিয়েই নিজের সূচনা করেছিলেন। যেন শুরুটা হয়েছিল ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে, শেষটাও হলো একই দলের সঙ্গে অমর স্মৃতি তৈরি করে।
এই গোল মেসির চলতি বাছাইপর্বে সপ্তম, যা তাকে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসিয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাই ইতিহাসে তার গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৩৫-এ। জাতীয় দলের হয়ে এটি ছিল তার ১১৩তম গোল, যার মধ্যে ১০০টিই এসেছে বাম পায়ের যাদুকরী স্পর্শে। লিওনেল স্কালোনির অধীনে এটি তার ৪৮তম গোল, যা তাকে আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা শীর্ষ গোলদাতা হিসেবে আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করল।
মনুমেন্টালে সেই গোলের পর উল্লাসে ভাসে পুরো স্টেডিয়াম, ভেসে যান মেসিও। বিদায়ী রাতে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের জন্য এমন উপহার যে কেবল মেসির পক্ষেই সম্ভব, তা যেন আরেকবার প্রমাণ হয়ে রইল।