মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তাই বেড়েছে শীতের প্রকোপ। দিনে সূর্যের লুকোচুরি আর রাতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে- চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জে সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। গোপালগঞ্জের সঙ্গে যৌথভাবে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও এটি।
তিনি আরও বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ঠান্ডার আরও বাড়তে পারে। কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রায় পারদও নামতে পারে আরও।
এদিকে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে সৃষ্ট হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যপ্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। কনকনে ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাবে হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।
হুসাইন মালিক/এএইচ/এএসএম