দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত ‘ভারতীয় এজেন্ডা নিয়ে মাঠে জামায়াত’— শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এক বিবৃতিতে এ দিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দৈনিক ইনকিলাবের ১৬ সেপ্টেম্বর সংখ্যার ১ম পাতায় ‘ভারতীয় এজেন্ডা নিয়ে মাঠে জামায়াত’ শিরোনামে প্রকাশিত বানোয়াট, অসত্য ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদনের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মূলত ডা. জাহেদুর রহমান জনগণকে বিভ্রান্ত করার হীন উদ্দেশ্যেই পানি ঘোলা করে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন এবং পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অথচ পিআর পদ্ধতি আধুনিক বিশ্বের একটি উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, যা বর্তমানে প্রায় ৯১টিরও বেশি দেশে কার্যকর রয়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, আলেম-ওলামা, রাজনৈতিক নেতা ও ছাত্রসমাজ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সমর্থন করছেন। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল ভুল তথ্য ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন যাতে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো মজবুত ভিত্তি লাভ করতে না পারে।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীসহ ২৫টি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি করছে। দেশবাসী মনে করে, যারা ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে এ ব্যবস্থার বিরোধিতা করছে এবং এটিকে ভারতীয় এজেন্ডা বলে আখ্যা দিচ্ছে, তারা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে।’
তিনি বলেন, ‘শিগগিরই জনগণের আন্দোলনের মুখে সরকার পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। এতে দেশে ভারসাম্যপূর্ণ ও একটি টেকসই জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠিত হবে, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা সুসংহত হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে।’
তিনি সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা বন্ধ করুন। একই সঙ্গে দৈনিক ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি— তারা যেন পিআর পদ্ধতির পক্ষে কলম ধরেন এবং সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন।’