২০০টি হাঁস দিয়ে খামার শুরু করেন জাকির হোসেন (৪০)। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। বর্তমানে তার পাঁচটি খামারে হাঁস রয়েছে প্রায় সাড়ে আট হাজার। প্রতিদিন ৬৫ হাজার টাকার ডিম বিক্রি করেন তিনি।
জাকির হোসন ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপারী বাড়ির জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে।
সরেজমিন দেখা গেছে, খামারে শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করছেন জাকির হোসেন। হাঁসগুলোকে বিল ও মাঠে নিয়ে চরানো হচ্ছে। প্রাকৃতিক খাবার খাচ্ছে হাঁসগুলো। বাড়তি খাবার হিসেবে ধান, ভুট্টা, কুঁড়া ও ভুসি দেওয়া হচ্ছে।
খামারি জাকির হোসেন জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে ২০০টি হাঁস নিয়ে তিনি খামার শুরু করেন। এতে কিছুটা লাভ হওয়ায় পরের বছর ৫০০ হাঁস কিনে খামার বড় করেন। এভাবে লাভ বাড়তে থাকলে খামারের সংখ্যাও বাড়ান জাকির। বর্তমানে তার পাঁচটি খামার রয়েছে। হাঁস রয়েছে প্রায় সাড়ে আট হাজার।
খামারে কাজ করেন আটজন শ্রমিক। তাদের বেতন বাবদ প্রায় লাখ টাকা ব্যয় হয়। আর দৈনিক ডিম বিক্রি করেন চার হাজার পিসের মতো। এতে তার দৈনিক আয় হয় ৬৫ হাজার টাকা।
- আরও পড়ুন:
- দুবাই থেকে ফিরে গরুর খামার, মাসে আয় আড়াই থেকে তিন লাখ
- ঘুরে দাঁড়িয়েছে কুমিরের খামার, বছরে ১৫ কোটি আয়ের আশা
- ভোলায় ছাগলের খামারে মনোয়ারার চমক
জাকির হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাঁসের খামার করলেও তিনি সরকারিভাবে কোনো প্রশিক্ষণ বা পরামর্শ পাননি। হাঁসের কোনো রোগ হলে তিনি নিজেই বাজার থেকে ওষুধ কিনে এনে খাওয়ান। তবে আগামীতে আরও বড় পরিসরে হাঁসের খামার করার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য সরকারিভাবে সহযোগিতা চান তিনি।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগর কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জেলার সাত উপজেলায় ছোট-বড় মিলে হাজারের মতো হাঁসের খামার রয়েছে। সবাইকে তারা পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু জাকির হোসেনের বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। আগামীতে জাকির হোসেনকে সরকারিভাবে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসআর/এএসএম