দ্রুত সময়ের মধ্যে হল খুলতে চাই: রাবি উপাচার্য

1 month ago 19

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন আবাসিক হল পরিদর্শন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। এসময় তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত হলগুলো মেরামত শেষে দ্রুতই হল খোলার সিদ্ধান্ত হবে।

রোববার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের কক্ষগুলো দিয়ে পরিদর্শন শুরু করেন তিনি। পরে নবাব আব্দুল লতিফ হল, মাদার বখশ হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হল পরিদর্শন করেন।

এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. তরিকুল হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সরকার, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাসিমা আক্তার, পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক মোকছিদুল হক, লিগ্যাল সেলের প্রশাসক ড. সাদিকুল ইসলাম সাগর ও সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।

 রাবি উপাচার্য

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. নাসিরুদ্দিন বলেন, ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আড়ালে একদল কুচক্রী মহল আমাদের হলে প্রবেশ করে প্রায় ১১টি কক্ষে ভাঙচুর চালায়। এতে অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হলের।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ১৬ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে, এতে প্রশাসনিক ভবনসহ ৯টি হলের ১৫৮টি কক্ষে ভাঙচুর করা হয়। এতে আনুমানিক চার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে হলে ভাঙচুর, সাইকেল ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং ল্যাপটপ ভাঙচুর করা হয়।

হল খোলার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা হলে খুলতে চাই। এর আগে হলগুলো ঠিকঠাক করতে হবে। আমরা এরই মধ্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছি। তদন্ত কমিটিকে ৮ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় ও তদন্ত শেষ করলে আমরা হলগুলো মেরামতের কাজ শুরু করবো। মেরামতের কাজ শেষ হলেই হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

মনির হোসেন মাহিন/জেডএইচ/জিকেএস

Read Entire Article