ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ বছর পর ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। শুধু সিরিজ পরাজয়ই নয়, তিন ম্যাচের সিরিজে রীতিমত ধবলধোলাই হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
শেষ ওয়ানডেতে ৩২১ রানের স্কোর করেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকাতে পারেনি টাইগাররা। প্রথম ওয়ানডেতে ২৯৪ রান নিয়েও হয়েছে ব্যর্থ। ধবলধোলাই হওয়ায় ভক্ত-সমর্থকরা চরম হতাশ। কেউ কেউ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে প্রিয় দলের এমন পারফরম্যান্স ও পরিণতি দেখে চিন্তিত।
শুনলে অবাক হবেন, ধবলধোলাই হলেও দেশের ক্রিকেটের অতি জনপ্রিয় নাম, প্রশিক্ষক ও বর্তমান বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম মোটেই চিন্তিত নন। ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট নন নিসন্দেহে। কিন্তু পারফরম্যান্স, অ্যাপ্রোচ এবং কয়েকজন ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সে তিনি দারুণ আশাবাদী।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পরে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে নাজমুল আবেদিন ফাহিমের ব্যাখ্যা, ‘আমার মনে হয় কিছু ইতিবাচক দিক আছে। বেশ অনেকদিন পর আমাদের ব্যাটাররা রান করতে শুরু করেছে। যেটা খুব ভালো দিক। আমরা ম্যাচে ৩০০ রানের এদিক ওদিক করেছি। সেটা খুবই ভালো দিক। টপঅর্ডারে রান দেখছি। দু’একজনের মধ্যে রানও দেখছি টপঅর্ডারে। মিডলঅর্ডারেও আস্থা দেখছি। লেট মিডলঅর্ডারে জাকের আলী অনিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বেশ ভালো খেলেছে। ধারাবাহিকভাবে রান করেছে। বোঝা যাচ্ছে, ব্যাটিংটা ভালো হচ্ছে। বোলিংটা যেমন প্রত্যাশিত ছিল তেমন হয়নি।
শেষ ম্যাচে বেশি হতাশ করেছেন বোলাররা। আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও রিশাদ হোসেনরা। ৩২১ রানকে ডিফেন্ড করতে না পারার দায় বোলারদের উপরই বর্তায়। ফাহিমের অভিমতও তেমন।
ব্যাটিং-বোলিংয়ে কিছুটা ভারসাম্যহীনতা থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এ সিরিজের সামগ্রিক পারফরম্যান্সকে আশার আলো মনে করছেন ফাহিম।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজের পারফরম্যান্সটা হতে পারে আলোকবর্তিকা।’
ফাহিমের ব্যাখ্যা, ‘আমি ওপেনারদের বেশ কিছুদিন পর ভালো খেলতে দেখেছি। আস্থা নিয়ে প্রতিপক্ষ দলের বোলিং মোকাবিলা করতে দেখেছি। সেটা আশা জাগানিয়া। তামিমের (তানজিদ হাসান) কথা বলি। যথেষ্ঠ গোছানো ভাব দেখছি এ তরুণ বাঁহাতি ওপেনারের মধ্যে। প্রোপার ক্রিকেটিং শট খেলতে দেখলাম।’
একটি বিশেষ কারণে তানজিদ তামিমের ব্যাটিং মনে ধরেছে কোচ ফাহিমের। তিনি বলেন, ‘উইকেটে বাউন্স ছিল। সেখানে আস্থার সাথে খেলা সহজ ছিল না। ক্যারিবীয় ফাস্টবোলারদের বল ক্যারি করা, ডেলিবারি সহজে নিয়ন্ত্রণে এনে খেলা ও রান করা সহজ ছিল না। সেটা তামিম করে দেখিয়েছে।’
জাকের আলীকে নিয়ে ফাহিমের কথা, ‘নীচে জাকের আলীও আস্থা নিয়ে খেলেছে। সে জানে কীভাবে বোলারদের মোকাবিলা করতে হয়। তার ব্যাট চালনা দেখে আন অর্থোডক্স মনে হলেও এরই মধ্যে নিজের কার্যকরিতা প্রমাণ দিয়েছে। সে জানে বোলারকে কীভাবে এলোমেলো করে দিয়ে আক্রমণাত্মক শট খেলা যায়। সেটা অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আশার আলো।’
এআরবি/এমএইচ/এএসএম