ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক শেখ হাসিনা

3 months ago 30

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে এক আলোচনায় বলেছিলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে সেক্যুলার বাঙালি জাতির অস্তিত্বের রক্ষাকারী হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। আমি এই ধর্মনিরপেক্ষতার চাড়া বাংলাদেশের মাটিতে পুঁতে গেলাম। যদি কেউ এই চাড়া উৎপাটন করে, তাহলে বাঙালির জাতির স্বাধীন অস্তিত্বই সে বিপন্ন করবে।’

হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতে অর্জিত বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা। এই পতাকা এ দেশের অসাম্প্রদায়িকতার অনন্য প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থার শিকল ভেঙে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থার শিকল ভেঙে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা, তিনি সেটা করতে পেরেছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেছিলেন এ দেশ সকল ধর্মের সকল বর্ণের, সবার সমানাধিকার। আমাদের সংবিধানের চার মূলনীতিও সেই লক্ষেই সংযোজিত হয়েছিল। সব ধর্মের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দেশের সূচনা।

আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি। তারপরের পরিচয় আমরা কে কোন ধর্মের। সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নিয়ে কোন ভেদাভেদ নেই। সবাই যার যার ধর্ম পালন করতে পারবে। কেউ কোন বাধার সৃষ্টি করতে পারবে না। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।’ এ কারণেই বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। বিশ্বে বাংলাদেশকে সম্প্রীতির রোল মডেলও আখ্যায়িত করা হয়। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে কোন বিশেষ ধর্ম নয়, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ রক্ষার জন্য সশস্ত্রযুদ্ধ করেছে পাকিস্তানী হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে।

একাত্তরে পাকবাহিনী ও তার এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদররা যখন হিন্দুদের ওপর আক্রমণ শুরু করলো, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিলো তখন মুসলিমরাই তাদের নিজের ঘরে আশ্রয় দিয়েছে। এখনও হিন্দু-মুসলমান ও অন্যান্য সম্প্রদায় সম্প্রীতির বন্ধন নিয়ে এক অপরের পাশে দাঁড়ায়। এভাবেই সম্প্রীতির বন্ধনে বাংলাদেশের মানুষ আবহমানকাল থেকেই আবদ্ধ। বাস্তবতা হলো, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতা দখলের দোলাচলে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি তার অবস্থানে থাকতে পারেনি। কারণ, তখন থেকেই রাজনীতি হয়ে যায় ধর্মাশ্রয়ী। মূলত সেই থেকেই পাকিস্তানী ধারায় সাম্প্রদায়িকতা এদেশে আবারও অবস্থান নেয়। তারপর থেকে নানা সময়ে ঘটে আসছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তান্ডব।

বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁরই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। তাঁর শাসনামলে সকল ধর্মের, সকল মতের মানুষ সমঅধিকার ভোগ করছেন। শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন এদেশে কেউ সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু নন। তিনি সকল মত-পথ ও বিশ্বাসের মানুষের মর্যাদা একইভাবে নিশ্চিত করেছেন। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সমভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উপাসনালয় বলা হয় এই মন্দিরকে। সেই পাকিস্তান আমল এমনকি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরও বিভিন্ন সময়ে বারবার দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি। জানা যায়, ১৯৫০ সালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হামলা হয়, লুট হয় স্বর্ণালংকারও। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের শাসনামলের শুরু এবং ১৯৬৪ সালের দাঙ্গার পর বেশ কিছু দিন মন্দিরে পূজা-অর্চনা বন্ধ থাকে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মন্দিরটি পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় মন্দিরের অর্ধেকের বেশি ভবন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। মূল ভবনটি দখল করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী অস্ত্র-গোলাবারুদ রাখার গুদামে পরিণত করে।

বাংলাদেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে ঢাকেশ্বরী মন্দির তার হারানো গৌরব ফিরে পায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দের সঙ্গে পূজা-অর্চনা শুরু করে। কিন্তু জাতির পিতার হত্যাকান্ডের পরই ১৯৭৫ সালের ২৫ নভেম্বর মন্দিরে আবারও হামলা চালানো হয়। ১৯৮৩ সালে মন্দির লুট ও আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। ১৯৯২ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন মন্দিরে ব্যাপক হামলা হয়। ২০০১ সালে নির্বাচনের পরও একই ঘটনা ঘটে।

১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে জাতীয় মন্দিরের মর্যাদা দেওয়া হয়। তখন ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির নাম রাখা হয়। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আস্থার জায়গা তৈরি হয়। সেই থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ সারাদেশের মন্দিরে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা-অর্চনা শুরু হয়েছে- যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য, দেবীর প্রতিমা যেখানে স্থাপিত, সেসব জায়গা ঘিরে ভাওয়াল রাজার আমলের শেষদিকে মন্দিরের জন্য ২০ বিঘা জায়গা দেবোত্তর ভূমি হিসেবে রেকর্ড হয়।

সেই দেবোত্তর ভূমি একশ্রেণির ভূমি দস্যু দখল করে অবৈধ বস্তি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে। এতে করে মন্দিরের পবিত্রতা যেমন নষ্ট হতো, অন্যদিকে ভক্ত ও পর্যটকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হত। এই জায়গাটি পুনরুদ্ধার করে মন্দিরের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরে মন্দির কমিটি। এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা ছিল। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি জানেন। মামলা নিষ্পত্তি দীর্ঘ স্থায়ী সমাধানের পথ। তাই প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ দিয়ে আপোস মীমাংসা করে মন্দির কমিটির হাতে জমিটি ফিরিয়ে দেন।

ভক্তদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০১৮ সালে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্দির কর্তৃপক্ষকে জমি উপহারের ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ‘এই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে জমি নিয়ে একটা সমস্যা ছিল। ইতোমধ্যেই সেই সমস্যা আমরা সমাধান করে ফেলেছি। বাকি কাজটা আপনাদের ওপরই নির্ভরশীল।’ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী মন্দিরের দক্ষিণ-পশ্চিমের দেড় বিঘা জমি বুঝে পেয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। শুধু জায়গা ফিরিয়ে দিয়েই দায়িত্ব পালন শেষ নয়, মন্দিরের আধুনিকায়নের জন্য ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখনকার সুবিশাল মন্দির কমপ্লেক্সটি শেখ হাসিনারই অবদান।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আলাদা আবেগ ভালোবাসা রয়েছে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি প্রায় প্রতিবছরই মন্দিরে উপস্থিত হয়ে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। যখন যা প্রয়োজন তখনই পাশে দাঁড়ান। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায়ে মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিনামূল্যের ক্লিনিকটি পুনরায় চালু করা হবে। সেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে আধুনিক মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়া হবে।

ঢাকার আরেকটি ঐতিবাহী মন্দির রমনা কালী মন্দির। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে রমনা কালী মন্দিরের নাম ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন রমনা রেসকোর্স ময়দানে। এর পাশেই অবস্থিত রমনা কালী মন্দির। ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ মন্দিরটি ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। হত্যা করা হয় সেবায়েতসহ শতাধিক পূজারিকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও রমনা কালী মন্দির পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ কেউ নেয়নি।

১৯৯৬ সালে জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর মন্দিরকে জমিদান এবং অন্যান্য সহযোগিতা করেন। শুরু হয় পূজা-অর্চনা। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মতো আবারও মন্দিরের ওপর কালো থাবা পড়ে। আবারও পূজা-অর্চনা বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৯ সালে পুনরায় শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর মন্দিরের সংস্কার কাজ শুরু হয়। আজ রমনা কালী মন্দির নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রতীক। যার অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের। তাঁর প্রস্তাবেই মন্দিরটির আধুনিকায়নে অর্থায়ন করেছে ভারত সরকার।

এ কথা সত্য যে, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। তারপরও আওয়ামী লীগ সরকার অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদেরও সমান গুরুত্ব দেয়। সকল ধর্মীয় উপাসনালয় সংস্কার, ধর্মীয় শিক্ষা প্রচারে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ২০০৯ থেকেই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের উন্নয়ন কাজ চলছে। বাংলাদেশের সব ধর্মের প্রসার ও বিকাশে আলাদা আলাদা কল্যাণ ট্রাস্ট করা হয়েছে।

জানা গেছে, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী আমানত ২১ কোটি থেকে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবছর দুই লাখের বেশি মানুষকে প্রাক-প্রাথমিক, বয়স্ক ও ধর্মীয় গ্রন্থ গীতা শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৪ হাজার মন্দিরের সংস্কার আর উন্নয়ন করা হয়েছে। প্রায় ৯শ’ হিন্দু শ্মশানের সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ, হবিগঞ্জ জেলার ১৫৮টি মন্দির ও শ্মশানের কাজ শেষ হয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবায়েতদের দক্ষতাবৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৪২ হাজার পুরোহিত ও সেবায়েতদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মন্দিরভিত্তিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতিবছর ১ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে প্রাথমিক, ৩০ হাজার নিরক্ষর ব্যক্তিকে ধর্মীয় শিক্ষা এবং ৪২ হাজার শিক্ষার্থীকে গীতা শিক্ষাসহ মোট দুই লাখেরও বেশি মানুষকে শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮ হাজার শিক্ষক, কর্মকতা-কর্মচারীকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হজযাত্রীদের মতো হিন্দু ভক্তদের ভারতের তীর্থ দর্শনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সরকারি অনুদান সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। শারদীয় দুর্গাপূজা সাছন্দ্যে পালনের লক্ষ্যে কল্যাণ ট্রাস্ট ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের মাধ্যমে সারাদেশের পূজামপে অনুদান প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই ভূখন্ডে নানা জাতি-গোষ্ঠী ও ধর্মমতের অনুসারীরা পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে মিলেমিশে একত্রে বসবাসের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সংহত রেখেছে। আর এই সম্প্রীতির নেতৃত্বে একজন শেখ হাসিনা। এদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার নিরাপদ আশ্রয়স্থল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অতীত যেমন পাশে ছিলেন, ভবিষ্যতেও তিনিই থাকবেন।

লেখক : সাংবাদিক।

এইচআর/এমএস

Read Entire Article