ধর্ষণের শিকার কিশোরীর সন্তান প্রসব, ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষক শনাক্ত
নওগাঁর মান্দায় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষায় পিতৃত্বের পরিচয় মিলেছে। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার (৩০ নভেম্বর) সকালে নওগাঁ আদালত চত্বর থেকে অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম ওরফে মোকছেদকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার কামরুল ইসলাম মান্দা উপজেলার শোভাপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তোজাম্মেল হক। সিআইডি সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী একটি মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। কামরুল ইসলাম ওরফে মোকছেদের স্ত্রী-সন্তান থাকার পরও ওই কিশোরীকে প্রেমসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিতেন। কিশোরী তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। পরে কিশোরীর বাবা-মা মোকছেদকে সতর্ক করে দেন। কিন্তু উল্টো মেয়ের ক্ষতি করবেন বলে হুমকি দেন মোকছেদ। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মোকছেদ এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সবশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই মোকছেদের বাড়িতে কেউ না থাকায় কিশোরীকে ডেকে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি অবগত করা হয়। উপজেলার স্থানীয় একটি
নওগাঁর মান্দায় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষায় পিতৃত্বের পরিচয় মিলেছে। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার (৩০ নভেম্বর) সকালে নওগাঁ আদালত চত্বর থেকে অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম ওরফে মোকছেদকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার কামরুল ইসলাম মান্দা উপজেলার শোভাপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তোজাম্মেল হক।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী একটি মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। কামরুল ইসলাম ওরফে মোকছেদের স্ত্রী-সন্তান থাকার পরও ওই কিশোরীকে প্রেমসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিতেন। কিশোরী তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। পরে কিশোরীর বাবা-মা মোকছেদকে সতর্ক করে দেন। কিন্তু উল্টো মেয়ের ক্ষতি করবেন বলে হুমকি দেন মোকছেদ।
একপর্যায়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মোকছেদ এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সবশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই মোকছেদের বাড়িতে কেউ না থাকায় কিশোরীকে ডেকে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি অবগত করা হয়। উপজেলার স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হলে ২৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে ফলাফল আসে।
ঘটনার পর কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে পারিবারিকভাবে মোকছেদকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু মোকছেদ বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান এবং এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি মান্দা থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এসআই তোজাম্মেল হক জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর সন্তানের সঙ্গে এজাহারনামীয় আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে মোকছেদের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় থানার তদন্তকারী অফিসার তাকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। কিন্তু বাদী নারাজি দাখিল করায় পুনরায় তদন্তের জন্য সিআইডিকে আদেশ দেন আদালত। পরে ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ভিকটিমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিত্বে ছয়মাস আগে কামরুল ইসলামসহ তিনজনের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার (২৬ নভেম্বর) ডিএনএ টেস্টের ফলাফল আসে। রোববার ভুক্তভোগীদের অফিসে ডেকে কিশোরীর সন্তানের সঙ্গে মোকছেদের ডিএনএর ফলাফল মিল রয়েছে বলে জানানো হয়।
এসআই তোজাম্মেল হক আরও জানান, আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে মোকছেদকেও অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি বুঝতে পারার পর তিনি কৌশলে অফিস থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে অফিসের সামনে আদালত চত্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরমান হোসেন রুমন/এসআর/জেআইএম
What's Your Reaction?