পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আবুল কাশেমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান সাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশ বলা হয়েছে, ডা. মো. আবুল কাশেম আবাসিক মেডিকেল অফিসার, সদর হাসপাতাল, পঞ্চগড় কর্তৃক রোগীর আত্মীয়ের সঙ্গে অপেশাদারসুলভ আচরণ, অশ্লীল কথাবার্তা ও দুর্ব্যবহার করেছেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার এমন আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য।
তার এমন অপেশাদার আচরণের জন্য তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ১২(১) বিধি মোতাবেক আদেশ জারির তারিখ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, প্রচলিত নিয়ম মোতাবেক তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে খোরপোশ ভাতাদি প্রাপ্য হবেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডা. আবুল কাশেমের একটি কুরুচিপূর্ণ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়— চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার এক শিশুর বাবা-স্বজনের সঙ্গে তিনি অশালীন, অপমানজনক আচরণ করে নানা হুমকি দেন এবং আক্রমণাত্মক ভাষায় কটূক্তি করেন। ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিকমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।
তরুণ-প্রবীণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ওই চিকিৎসকের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। অনেকেই মন্তব্যে লিখেছেন, এ ধরনের আচরণ চিকিৎসক সমাজের জন্য কলঙ্কজনক।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, একজন চিকিৎসকের মূল দায়িত্ব হলো রোগীর সেবা করা। কিন্তু তার ভাষা, জ্ঞান এবং আচরণ সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। একজন ডাক্তারের জন্য ধৈর্য বড় একটি গুণ। তাই তার ব্যবহৃত ভাষা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ভিডিওটি নজরে আসার পরপরই ওই চিকিৎসককে শোকজ করা হয়েছিল। মন্ত্রণালয় থেকে মেইলে চিকিৎসক আবুল কাশেমকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশের কপি পেয়েছি।