ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি, ভারী হতে চায় দাঁড়িপাল্লা

1 month ago 9

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণায় চাঞ্চল্য বেড়েছে পাবনার পাঁচটি সংসদীয় আসনে। অন্য দু-একটির পাশাপাশি পাবনা-৩ আসনের হাওয়া তুলনামূলক বেশি গরম হয়ে উঠেছে। এ আসনে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় ছিল আপন তিন ভাইবোনের জোরালোভাবে বিএনপির মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি। তবে মাঝে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পক্ষ থেকে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিনকে এ আসনে নির্বাচনী কাজ শুরুর মৌখিক নির্দেশনার গুঞ্জনে সেটি ভিন্ন মাত্রা পায়। এ নির্দেশনার কারণে স্থানীয় নেতাকর্মীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন। বেড়েছে বিভক্তি।

এই আসনে বিএনপির সম্ভাবনা বেশি থাকায় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে টানাটানি চলছে। মনোনয়ন পেলে এমপি হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত এমন ভাবনা থেকে অনেকেই বিএনপির প্রার্থী হওয়ার জন্য মুখিয়ে। অন্যদিকে এ আসন থেকে জামায়াতের কোনো প্রার্থীর আগে সংসদে যাওয়ার রেকর্ড না থাকলেও নির্বাচনী প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে দলটি। তারা একক প্রার্থী ঘোষণা করে সবার আগে মাঠে নেমেছে। মূলত ভোট বাড়িয়ে আরও ভারী হতে চায় জামায়াত।

এদিকে দীর্ঘদিন একসঙ্গে রাজনৈতিক পথচলা নেতাদের মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক অনিশ্চয়তায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় নেতাদের অনুসারীদের মধ্যে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলীয় যে কোনো সিদ্ধান্ত মানতে সবদিক থেকে প্রস্তুত। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে এই আসনে আসা কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতা হাসান জাফির তুহিনকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ তারা।

এ আসনের তিনটি উপজেলা থেকে বিএনপির পক্ষে পাঁচ-ছয়জন নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশীর কাউকেই দলের পক্ষ থেকে প্রাথমিক কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে হাসান জাফির তুহিন পাবনা-২ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করলেও নির্বাচনে অংশ নিতে তাকে পাবনা-৩ আসনে কার্যক্রম পরিচালনার মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দীর্ঘদিন একসঙ্গে রাজনৈতিক পথচলা নেতাদের মনোনয়নপ্রাপ্তির বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক অনিশ্চয়তায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় নেতাদের অনুসারীদের মধ্যে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলীয় যে কোনো সিদ্ধান্ত মানতে সব দিক থেকে প্রস্তুত। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে এ আসনে আসা কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতা হাসান জাফির তুহিনকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ তারা।

এ আসনে এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর সম্ভাবনা সবার থেকে বেশি। এ কারণেই এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে মরিয়া দলটির পাঁচ-ছয় নেতা। এর মধ্যে শুরুতে একই পরিবারের আপন তিন ভাইবোন দলীয় টিকিট বা মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন।

তাদের দাবি, দলের হাইকমান্ড থেকে সরাসরি তাদের না জানালেও হাসান জাফির তুহিনকে এ আসনে হয়তো শুধু কাজ করার অনুমতি দিয়ে থাকতে পারেন। তবে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, জেলার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নিয়ে পাবনা-৩ আসন। এ আসনে চারজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। এছাড়া নারী-পুরুষ মিলিয়ে তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৬০। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার চাটমোহর উপজেলায়। এ উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৪৯। এছাড়া ভাঙ্গুড়ায় ১ লাখ ৫২ হাজার ২ ও ফরিদপুরে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯ জন ভোটার রয়েছেন। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে।

তথ্য বলছে, এ আসনে বরাবরই আওয়ামী লীগের দাপট ছিল বেশি। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষে এমপি ছিলেন মকবুল হোসেন। যদিও অধিকাংশ নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এর আগে ১৯৯১ সালে সাইফুল আযম ও ২০০১ সালে কে এম আনোয়ারুল ইসলাম বিএনপির পক্ষে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মাঝে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ওয়াজি উদ্দিন খান নির্বাচিত হন।

এ আসনে একই পরিবারের আপন তিন ভাইবোন দলীয় টিকিট বা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। তারা হলেন চাটমোহর উপজেলা বিএনপির প্রয়াত নেতা আক্কাজ আলী মাস্টারের ছেলে হাসাদুল ইসলাম হীরা, হাসানুল ইসলাম রাজা ও মেয়ে অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমা।

আসন দখলের অতীত ইতিহাস ও রাজনৈতিক হিসাব অনুযায়ী, এ আসনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর সম্ভাবনা সবার থেকে বেশি। এর কারণেই এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে মরিয়া দলটির পাঁচ-ছয়জন নেতা।

এর মধ্যে শুরুতে একই পরিবারের আপন তিন ভাইবোন দলীয় টিকিট বা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। তারা হলেন চাটমোহর উপজেলা বিএনপির প্রয়াত নেতা আক্কাজ আলী মাস্টারের ছেলে হাসাদুল ইসলাম হীরা, হাসানুল ইসলাম রাজা ও মেয়ে অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমা। হীরা চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। আঞ্চলিক রাজনীতি ও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলা শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে অন্যদের তুলনায় হীরাকে বেশি সক্রিয় দেখা গেছে বলে দাবি তার কর্মী-সমর্থকদের। হাসানুল ইসলাম রাজা জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য। এছাড়া অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমা ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এ তিন ভাইবোন প্রত্যেকেই আগামী নির্বাচনে এ জনপদের জন্য নিজেদের যোগ্য দাবি করে শুরুতে ধানের শীষ প্রতীক প্রত্যাশা করেছিলেন।

এ আসন থেকে কোনো জামায়াত প্রার্থী আগেও সংসদে যাননি। তবে এবার এ আসন থেকে দল মনোনীত প্রার্থীকে সংসদে পাঠাতে ব্যাপকহারে জনসংযোগ করছেন জামায়াত কর্মীরা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তারা। তবে পূর্ব থেকেই এ অঞ্চলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের আধিপত্য বেশি হওয়ায় আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপির বিজয়ই অনেকটা নিশ্চিত বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্যই মূলত ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি চলছে।

তবে হাসান জাফির তুহিনকে এ আসনে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়ার পর নিজের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়ে হাসান জাফির তুহিনের প্রচারণায় অংশ নিতে শুরু করেন অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমা। তবে অন্যরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে। এর বাইরে এরই মধ্যে নিজ সংসদীয় আসনের তিনটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মনোনয়ন ও দোয়াপ্রত্যাশী ব্যানার এবং পোস্টার টাঙিয়েছেন তারা। জনসংযোগের অংশ হিসেবে নিয়মিতই উঠোন বৈঠক, বাজার ও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টাও করেছেন তারা।

এছাড়া এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সাবেক এমপি ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম আনোয়ারুল ইসলাম এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার। এ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে এ দুজনের সঙ্গে অগ্রাধিকার তালিকায় ছিল হাসাদুল ইসলাম হীরার নামও। কারণ এ অঞ্চলে সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদায় অন্যদের তুলনায় এগিয়ে এই তিন নেতা। তবে হাসান জাফির তুহিনকে এই আসনে নির্বাচনমুখী কাজ করার নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকে মাসুদ খন্দকারও তার অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানা গেছে।

আলোচিত তিন ভাই-বোন হাসাদুল ইসলাম হীরা, হাসানুল ইসলাম রাজা ও আরিফা সুলতানা রুমাআলোচিত তিন ভাই-বোন হাসাদুল ইসলাম হীরা, হাসানুল ইসলাম রাজা ও আরিফা সুলতানা রুমা

তবে জোর প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক এমপি একেএম আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি ২০০১ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই এ অঞ্চলে বিএনপিকে সংগঠিত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেন। ফলে দলের নেতাকর্মীদের কাছে তার ভিন্নধর্মী গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলে মনে করেন কর্মী-সমর্থকরা। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে সাবেক এমপি আনোয়ারুল ইসলাম, হীরা ও সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল ফখরুল আজমকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। পরে আনোয়ারুল ইসলামকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। ফলে এ আসনে ফখরুল আজমকেও গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনায় রেখেছিলেন অনেকেই। তবে এসব হিসাব ও বিবেচনার বাইরে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা কৃষকদল নেতা হাসান জাফির তুহিনকে আগামীর ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে এ আসনে কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এরইমধ্যে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কেন্দ্রীয় নির্দেশে হাসান জাফির তুহিনের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। সমাবেশ বা জমায়েত করে চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাসান জাফির তুহিনকে আনুষ্ঠানিক পরিচয় করিয়ে দেওয়া ও আগামী সংসদ নির্বাচনে নিজ দলের প্রাথমিকভাবে ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে কর্মী-সমর্থকদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয় বলেও জানান জেলা বিএনপির এই নেতা। তবে এ নির্দেশ মানতে নারাজ স্থানীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। নির্বাচনে অংশ নিতে তারা নিজ উদ্যোগে মিছিল, মিটিং, মতবিনিময় সভা ও উঠোন বৈঠকের মতো নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জোর প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও সাবেক এমপি কেএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ আসনে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এখনই দেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না। বলা হচ্ছে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয় এরকম কেউ কখনো শুনেছে? এরকম হয়? অবশ্যই হয় না। তফসিল ঘোষণা হবে, দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা পড়বে তারপর তো মনোনয়ন। হয়তো কাউকে কাজ করার অনুমতি দিয়ে থাকতে পারে। তবুও কারা কীভাবে দিয়েছেন আমাদের এ সংক্রান্ত কিছু জানানো হয়নি বা জানি না। তাই আমি আমার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমার অবস্থান কেমন তা তিন উপজেলার মানুষ বলবে। আমি অবশ্যই বিজয় নিয়ে আশাবাদী।

আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তাই আমি আমার মতো করে কাজ করে যাচ্ছি। এ অঞ্চলে বিএনপি ও বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য আমি কী করেছি তা প্রত্যেকটি কর্মী জানে।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে কেউ কোনো নেতাকর্মীর খোঁজ নেননি। হামলা মামলার শিকার হয়েও এ অঞ্চলে দলকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। নেতাকর্মীদের মামলা টেনেছি, অনেকের সংসারও টেনেছি। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনেও ছুটে গিয়েছি। মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে দল এসব বিষয় বিবেচনা করবে বলে আমি আশা রাখি। তাছাড়া মাঠপর্যায়ে আমি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এক্ষেত্রে মনোনয়ন পেলে এ আসনের মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে আমি অবশ্যই আশাবাদী।

এদিকে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে জনসংযোগের জন্য প্রতিদিনই চষে বেড়াচ্ছেন হাসান জাফির তুহিন। নিয়মিতই উটোন বৈঠক, মতবিনিময় সভা ও অন্য কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। তবে এতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে কি না সেটিও এখন বড় প্রশ্ন। কারণ দলের নেতাকর্মীরা স্থানীয় নেতাদের বাইরে তাকে সহজে গ্রহণ করতে চাইছেন না। একই অবস্থানে সাধারণ অনেক ভোটারও। নিজ এলাকার নেতাকেই প্রার্থী হিসেবে দাবি তাদের। এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে হাসান জাফির তুহিনের ফোন নম্বরে চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার ব্যক্তিগত সচিব মো. শামসের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলাপ হলেও মন্তব্যের ব্যাপারে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ অন্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থী কারোরই তেমন খোঁজ মিলছে না এ আসনে। তবে এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর তেমন দাপট না থাকলেও বেশ আগেই দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। এ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে অধ্যাপক মাওলানা আলী আছগারকে। তিনি জেলা জামায়াতের শিক্ষাবিষয়ক কমিটির সদস্য ও ভাঙ্গুড়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির। তিনি ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিলেও ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন এবং পরাজিত হন।

এ আসন থেকে কোনো জামায়াত প্রার্থী আগেও সংসদে যাননি। তবে এবার এ আসন থেকে দল মনোনীত প্রার্থীকে সংসদে পাঠাতে ব্যাপকহারে জনসংযোগ করছেন জামায়াত কর্মীরা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তারা। তবে পূর্ব থেকেই এ অঞ্চলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের আধিপত্য বেশি হওয়ায় আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপির বিজয়ই অনেকটা নিশ্চিত বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এ জন্যই মূলত ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি চলছে।

এদিকে এসবের মধ্যেও আশার আলো দেখতে পান জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা আলী আছগার। তিনি বলেন, ফরিদপুর উপজেলা থেকে কোনো প্রার্থী নেই। ভাঙ্গুড়া আমার এলাকা। এ দুটি উপজেলায় আমার ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। আমি ও দলের নেতাকর্মীরা উপজেলাগুলোর মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। চাটমোহরেও অনেক সময় দিচ্ছি। ফলে এখান থেকেও আমি ভালো কিছুই প্রত্যাশা করি। সবমিলিয়ে নির্বাচনে বিজয়ের প্রত্যাশা রাখি।

এএইচআইএন/এসএইচএস/এমএফএ/জিকেএস

Read Entire Article