ধানের শীষের প্রার্থী পেতে সনাতনী ১১৪ সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন
ঝিনাইদহ-২ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদকে ধানের শীষের মনোনয়ন দাবি করেছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতারা। এ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিলে ঝিনাইদহ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৫৭ হাজার সনাতনী ভোটার ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে ঝিনাইদহ-২ নির্বাচনী এলাকার ১১০টি পূজামণ্ডপ কমিটিসহ চারটি সনাতনী সংগঠন যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা আহ্বায়ক চন্দন বসু মুক্ত। এ সময় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্যসচিব প্রহল্লাদ সরকার, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক মলিন কুমার ঘোষ, সদস্যসচিব সমীর কুমার হালদার, দীপঙ্কর ঘোষ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পরিষদের অরুণ কুমার ঘোষ, গণেশ চন্দ্র বিশ্বাস, সুমন বিশ্বাস, প্রবীণ সনাতনী ব্যক্তিত্ব অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যক্ষ শুসেন কুমার ভৌমিক, বিমল কুমার ঘোষাল ও সাধন কুমার ঘোষ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর থেকে ঝিনাইদহ জেলার সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত স্থ
ঝিনাইদহ-২ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদকে ধানের শীষের মনোনয়ন দাবি করেছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতারা। এ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিলে ঝিনাইদহ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৫৭ হাজার সনাতনী ভোটার ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে ঝিনাইদহ-২ নির্বাচনী এলাকার ১১০টি পূজামণ্ডপ কমিটিসহ চারটি সনাতনী সংগঠন যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা আহ্বায়ক চন্দন বসু মুক্ত।
এ সময় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্যসচিব প্রহল্লাদ সরকার, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক মলিন কুমার ঘোষ, সদস্যসচিব সমীর কুমার হালদার, দীপঙ্কর ঘোষ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পরিষদের অরুণ কুমার ঘোষ, গণেশ চন্দ্র বিশ্বাস, সুমন বিশ্বাস, প্রবীণ সনাতনী ব্যক্তিত্ব অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যক্ষ শুসেন কুমার ভৌমিক, বিমল কুমার ঘোষাল ও সাধন কুমার ঘোষ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর থেকে ঝিনাইদহ জেলার সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ এবং সনাতনী সম্প্রদায় ঝিনাইদহ-২ নির্বাচনী এলাকায় নির্ভয়ে ও নিরাপদে বসবাস করছে। বিগত দুই বছর আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব, দুর্গাপূজা, অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এবং কোনো প্রকার আতঙ্ক ছাড়াই উদযাপিত হয়েছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থেকে সনাতনীদের ধর্মীয়, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যবসায়ীসহ সব কার্যক্রম নিরাপত্তার সাথে দেখভাল ও সার্বক্ষণিক পাশে থেকে ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করছেন যে মানুষটি, তিনি হলেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সংগ্রামী সভাপতি এম এ মজিদ। তার আন্তরিক সহযোগিতা ও সহায়তা সনাতনী সমাজের লোকদের মাঝে একটা আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা তৈরি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি একটি বৃহৎ ও জনসম্পৃক্ত রাজনৈতিক দল। ভবিষ্যতে ঝিনাইদহের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য অ্যাডভোকেট এম. এ. মজিদের নেতৃত্ব অপরিহার্য। তার মতো একজন প্রগতিশীল এবং সব ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নেতার প্রয়োজন। সনাতনীরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে করে এম এ মজিদের সমর্থনে নির্বাচনী কাজ শুরু করেছেন। এ কাজ শুরু করতে গিয়ে একটি কুচক্রী মহল বিএনপি সভাপতির জনপ্রিয়তা ও ব্যক্তি ইমেজে ঈর্ষান্বিত হয়ে অনলাইন, টিভি চ্যানেল, জাতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছে। সনাতনীরা এ মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
ঝিনাইদহের সনাতনীরা জননেতা তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ নির্যাতিত নেতাকর্মীদের আলোকবর্তিকা। তিনি নিজেও ফ্যাসিস্ট দ্বারা নির্যাতিত। তার বাসাবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অগণিত মামলা ছিল।
এম শাহজাহান/আরএইচ/এমএস
What's Your Reaction?