নতুন রাজনৈতিক দিশা দিতে তিন দল হাত মিলিয়েছে: মঞ্জু

নতুন রাজনৈতিক দিশা দিতে তিন দল- জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন হাত মিলিয়েছে বলে জানিয়েছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার ও প্রত্যাশা এবং এ অভ্যুত্থানের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে একটা নতুন রাজনৈতিক দিশা দেওয়ার জন্য তিনটা দল আজকে এখানে হাতে হাত মিলিয়ে আপনাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি।’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’র আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু এ কথা বলেন। এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজকে আমরা আসলে একটা নতুন যাত্রার ঘোষণা করার জন্য এখানে এসেছি। এটা এমন না যে আমরা সবকিছু গুছিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। বরং বলতে পারেন, অনেক চেষ্টার পর একটা উদ্যোগের, সাহসের জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনাদের সামনে আমরা ঘোষণা করছি।’ তিনি জানান, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, এরপর একটি গণতান্ত্রিক যাত্রায় বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন তারা দেখছেন। একটি নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তাদের মনে জাগ্রত হয়েছে। অনেকে তাদের আহ্বান জানিয়

নতুন রাজনৈতিক দিশা দিতে তিন দল হাত মিলিয়েছে: মঞ্জু

নতুন রাজনৈতিক দিশা দিতে তিন দল- জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন হাত মিলিয়েছে বলে জানিয়েছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার ও প্রত্যাশা এবং এ অভ্যুত্থানের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে একটা নতুন রাজনৈতিক দিশা দেওয়ার জন্য তিনটা দল আজকে এখানে হাতে হাত মিলিয়ে আপনাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি।’

রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’র আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু এ কথা বলেন।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজকে আমরা আসলে একটা নতুন যাত্রার ঘোষণা করার জন্য এখানে এসেছি। এটা এমন না যে আমরা সবকিছু গুছিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। বরং বলতে পারেন, অনেক চেষ্টার পর একটা উদ্যোগের, সাহসের জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনাদের সামনে আমরা ঘোষণা করছি।’

তিনি জানান, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, এরপর একটি গণতান্ত্রিক যাত্রায় বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন তারা দেখছেন। একটি নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তাদের মনে জাগ্রত হয়েছে। অনেকে তাদের আহ্বান জানিয়েছেন, এই আকাঙ্ক্ষা বাঁচিয়ে রাখার জন্য তারা যাতে একতাবদ্ধ হন। গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রকে তারা যেভাবে চেয়েছিলেন, নানা কারণে তাদের সেই আশা ভঙ্গ হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মঞ্জু বলেন, ‘পুরাতন রাজনীতির ব্যাপারে এদেশের মানুষের প্রত্যেকের মোহভঙ্গ হয়েছে এবং খুবই বিরক্তি দেখা দিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সবাই চান একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আসুক। পুরোনো রাজনীতির যেই কালিমা- একে অপরের বিষোদ্গার, পোস্টার ছেঁড়া, মিছিলে হামলা, বাধা দেওয়া, গুম-খুন বা সন্ত্রাস-নৈরাজ্য থেকে উঠে আসার উপায় কী? আমরা যখনই নতুন রাজনীতির কথা বলি, সেখানেও সবার সাহায্য পাই না, উৎসাহ পাই না। এটা সত্য যে আমাদেরও ভুল আছে। আমরা ভুল-ত্রুটি সবকিছু শুধরে নতুন করে চলতে চাই।’

এসময় বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এনএস/একিউএফ/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow