নদী দূষণমুক্ত ও নৌযান নিরাপদ করার লক্ষ্যে এখনও পৌঁছাতে পারেননি সরকার। কিছুটা ঘাটতি ও দুর্বলতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক বড় বড় নদী টেমস, হাইমস, রাইন, হান নদী একটা সময় দূষিত ছিল; এখন সেখানকার পানি পান করা যায়।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পানি সম্পদ বিশেষজ্ঞ ড. আইনুল নিশাত বলেছেন, একটা সময় তারা বুড়িগঙ্গার পানি পান করেছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০১৯ সালে নদীর তীর অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। করোনার কারণে এগিয়ে যেতে পারিনি। তখন দখলমুক্ত করার অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস দিয়েছেন। আমরা সফল হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নদী নিয়ে ভাবেন। নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করার কথা বলেন। যদি নদী নালা শুকিয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশের প্রাণ থেমে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ম্যানমেইড বর্জ্য, শিল্প-কারখানার বর্জ্য দূষণমুক্ত করতে কাজ করছি। দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্মত জাহাজ তৈরি হচ্ছে।
- আরও পড়ুন
নদী দখল করলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তথ্য চলে আসবে
দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে কুষ্টিয়ার ৮ নদী
সরকারের কাঁধে ভর করেই নদী দখল হচ্ছে: কামরুল
‘সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশ ভিজিট করে গেছেন। তিনি অভিভূত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছেন, এটা বড় অর্জন।’
আওয়ামী লীগ গত তিন মেয়াদে ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান। নদী দূষণমুক্ত করতে ড্রেজার, হোপার ড্রেজার সংগ্রহের টেন্ডার চলমান।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুর্ঘটনামুক্ত নৌ চলাচল ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রতি বছরের মতো এবারও নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রাখবে অবদান।’
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এ কে এম মতিউর রহমান, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাপ) সংস্থার সাবেক প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাপ) সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রম উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এমআরএম/জেআইএম