নদী রক্ষায় আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

1 month ago 7

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশের নদীগুলোকে রক্ষা ও দখল হওয়া নদী পুনরুদ্ধার করতে হবে। এ লক্ষ্যে আইনের কঠোর প্রয়োগ শুরু করা হবে। এ কার্যক্রমে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। নদীকে দূষণমুক্ত করতে ব্যয়সাশ্রয়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। পলিথিন প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।

বিশ্ব নদী দিবস ২০২৪ ও রিভার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ প্রদান উপলক্ষে ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, নদী শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, আমাদের সংস্কৃতি ও জীবিকার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতের অংশ হিসেবে নদীকে দূষণমুক্ত করতে হবে। নদী রক্ষা ও দূষণমুক্ত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে নদী নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা তিন ব্যক্তিকে মার্ক অ্যাঞ্জেলো রিভার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ প্রদান করা হয়। এ বছর ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে মার্ক অ্যাঞ্জেলো রিভার অ্যাওর্য়াড পান প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, গবেষণা ক্যাটাগরিতে গবেষণা সংস্থা রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ ও সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ইফতেখার মাহমুদ।

বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুইডেন অ্যাম্বাসির পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রম, আয়োজক প্রতিষ্ঠান ন্যাচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুর রব মোল্লা, হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান, পরিবেশ ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন, কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদের সেক্রেটারি শেখ দিদারুল ইসলাম চৌধুরী ও বিআইডব্ল্উিটিএ'র পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নদীর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের পরিবেশবিদ, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএএস/এমএইচআর/জিকেএস

Read Entire Article