সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর চরের একাংশ হঠাৎ ধসে পড়েছে। এতে নদীপাড়ে বসবাসরত শতাধিক পরিবারে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এ ধস আসন্ন ভয়াবহ নদীভাঙনের পূর্বাভাস।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের উত্তর ভামিয়া জোমাদ্দার পাড়া সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীর চরের প্রায় ৪০০ ফুট এলাকাজুড়ে মাটি দেবে যায়। এতে অসংখ্য গর্ত ও ফাটল সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, কোথাও কোথাও ফাটলের গভীরতা ৭০ থেকে ৮০ ফুট পর্যন্ত।
এলাকাবাসী আবুল হোসেন, অহিদ জোমাদ্দার ও সেলিম হোসেন বলেন, ‘চরের মাটি যেন নিচের দিকে টেনে নিচ্ছে। একটি গাছও হেলে পড়েছে। ভয় হচ্ছে, কখন আমাদের ঘরবাড়িও নদীতে চলে যায়।’
তাদের দাবি, প্রায় ৩৫০টি পরিবার নদীর পাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নদীর নিচ দিয়ে প্রবল স্রোতের ধাক্কা, দুর্বল মাটি, টানা বৃষ্টিপাত এবং জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে এ ধস দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, একের পর এক চর দেবে গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম শুধু পরিদর্শনে সীমাবদ্ধ। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে উপকূলরক্ষা বাঁধ ও আশপাশের গ্রামগুলো বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখনই কাজ শুরু না করলে সামনে ভয়াবহ ভাঙনের শিকার হবে পুরো জনপদ। সময় থাকতে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, ‘ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। জরিপ শেষ হয়েছে, দ্রুত কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে।’
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুন বলেন, ‘চর ধসের ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’