নবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

3 months ago 26

ফরিদপুরে সিজার অপারেশনের সময় নবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক গাইনি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রোববার (২৩ জুন) সকালে ওই শিশুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, শহরের চর কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা নায়েব আলীর স্ত্রী মুরশিদা বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে শনিবার বিকালে সৌদি-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার গাইনি চিকিৎসক ডা. শিরীন আক্তার অপারেশন করেন। এসময় কন্যা সন্তান জন্ম দেন মুরশিদা বেগম।

নবজাতককে স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর তারা নাভির পাশ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা প্রথমে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। পরে রক্ত বেশি বের হলে ওই চিকিৎসককে খবর দেওয়া হলে তিনি নাভির পাশে কেটে ফেলা অংশে দুটি সেলাই করে দেন।

এরপর ওই শিশুকে রাতে ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ওই শিশুটি হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নবজাতকের বাবা নায়েব আলী বলেন, চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। আর্থিক অবস্থা ভালো না। তাই ঢাকায় না নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

এ বিষয়ে সৌদি-বাংলা হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শিরীন আক্তার জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এটি। অপারেশনের সময় দেখতে পাই নবজাতকের অবস্থান ঠিক জায়গায় ছিল না। নাড়ি জড়িয়ে থাকায় কিছু অংশ কেটে যায়। পরে সেলাই করে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে সৌদি-বাংলা হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম লিখন বলেন, হাসপাতালে এসে শিশুটির খোঁজখবর নিয়েছি। তাকে সুস্থ করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) শামীম হাসান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। শিশুটির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. পারভেজ জানান, শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে ৭২ ঘণ্টার আগে কিছু বলা যাবে না।

এনকেবি নয়ন/আরএইচ/জিকেএস

Read Entire Article