নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে ইবি কর্মচারীদের মানববন্ধন
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে বৈষম্য ও প্রহসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১১ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা। বুধবার (১৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বানে এ মানববন্ধন হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের অর্ধশতাধিক কর্মচারী অংশ নেন। মানববন্ধনে কর্মচারীরা আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈষম্য দূর করে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা। তারা জানান, বিগত ১৫ বছরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অথচ গত ১১ বছরে কোনো নতুন পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়নি। নবম পে-স্কেল আমাদের ন্যায্য অধিকার, এটি আমাদের ভাতের অধিকার—এ দাবি কেউ কেড়ে নিতে পারে না। এই অধিকার নস্যাৎ করতে এক ধরনের সুকৌশল চেষ্টা চলছে বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা বলেন, “আমরা কোনো তালবাহানা চাই না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টাকে বলতে চাইÑ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে-স্কেল বাস্ত
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে বৈষম্য ও প্রহসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১১ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা। বুধবার (১৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বানে এ মানববন্ধন হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের অর্ধশতাধিক কর্মচারী অংশ নেন।
মানববন্ধনে কর্মচারীরা আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈষম্য দূর করে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
তারা জানান, বিগত ১৫ বছরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অথচ গত ১১ বছরে কোনো নতুন পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়নি। নবম পে-স্কেল আমাদের ন্যায্য অধিকার, এটি আমাদের ভাতের অধিকার—এ দাবি কেউ কেড়ে নিতে পারে না। এই অধিকার নস্যাৎ করতে এক ধরনের সুকৌশল চেষ্টা চলছে বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা বলেন, “আমরা কোনো তালবাহানা চাই না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টাকে বলতে চাইÑ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন না করলে ২০ লাখ কর্মকর্তা–কর্মচারী মাঠে নেমে কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হবে।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সদস্য আব্দুর রহিম বলেন, “বর্তমান সরকার এখন বলছে, পে-স্কেল ঘোষণার জন্য নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। কিন্তু যখন পে–কমিশন গঠন করা হয়েছিল, তখন কোথায় ছিলেন আপনারা? দেশের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তখন কেন স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল? যেহেতু সেই স্বপ্ন আপনারাই দেখিয়েছিলেন, তাই তার বাস্তবায়ন করতেই হবে। এটি দেশের সকল কর্মচারীর ন্যায্য অধিকার ও দাবি।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের ২০ লাখ কর্মকর্তা–কর্মচারীর সম্মিলিত শক্তি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অচল করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন না হলে ৬৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়ক, টেকনিক্যাল ও সাধারণ কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি—আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অচল করে দিতে বাধ্য হবো।”
What's Your Reaction?