৫ আগস্টের পরে ‘পতিত’ আওয়ামী লীগের যারা নব্য বিএনপিতে পরিণত হয়েছে, তারাই দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমিনুল হক।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা দিয়েছেন- বিএনপিতে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। এই সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের সঙ্গে জড়িত ‘নব্য বিএনপিতে পরিণত হওয়া’ আওয়ামী লীগের সুযোগসন্ধানী লোকদের চিহ্নিত করে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রুপনগরে থানা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-চাঁদাবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৫ বছর ধরে মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করে আসছে। সেই অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপিকে এ দেশের মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি এ দেশের সাধারণ মানুষের সমর্থন রয়েছে, আমাদের বিএনপিরও সর্বোচ্চ সমর্থন রয়েছে। আমরা আশা করি, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের দোসররা- যারা এ দেশের মানুষের ওপরে গত ১৫ বছর ধরে গুম-খুন ও জুলুম-অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যা করেছে- সেই হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের ভিতরে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
আমিনুল হক বলেন, আমরা চাই- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে একটি সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির পরিবেশ তৈরি হবে এবং সেই রাজনীতিতে আর কখনো কোনো প্রতিহিংসা থাকবে না, আর কোনো মায়ের বুক খালি হবে না, কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে হারাবে না, কোনো সন্তান তার বাবাকে হারাবে না-আমরা সেই রাজনীতি দেখতে চাই।
রূপনগর থানা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল হকের সভাপতিত্বে এবং থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক প্রকৌশলী মজিবুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।