না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দুই বাংলার জনপ্রিয়া কথা সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায়। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ‘নোনা জল মিঠে মাটি’র এই স্রষ্টা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।
১৯৩৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিক্রমপুর জেলার আটপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন প্রফুল্ল রায়। দেশভাগের পর ১৯৫০ সালে সপরিবারে কলকাতায় চলে যান তারা। এরপর পাকাপাকিভাবে কলকাতাতেই থেকে যান তিনি।
তার সাহিত্যে মূলত শিকড়হারা মানুষের যন্ত্রণার কথা ফুটে উঠতো। দেশভাগের যন্ত্রনা বুকে নিয়ে মানুষের স্বপ্ন দেখার গল্প উঠে আসতো তার কলমে।
ছোট বেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি ঝোঁক ছিল তার। পরিবার চালাতে একাধিকবার পেশা পরিবর্তন করেন তিনি।
১৯৫৭ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘পূর্ব-পার্বতী’। দেশ পত্রিকায় তার ধারাবাহিক এই উপন্যাস রীতিমতো দুই বাংলার বাঙালি সাহিত্যপ্রেমীদের মাঝে সাড়া ফেলেছিল।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারের জনজীবন নিয়েও ১৩টি উপন্যাস ও ২০টি গল্প লিখেছিলেন প্রফুল্ল রায়।
এরপর একের পর এক উদ্বাস্তু জনজীবনকেন্দ্রিক উপন্যাস ‘নোনা জল মিঠে মাটি’ ‘কেয়া পাতার নৌকা’ ‘শতধারা বয়ে যায়’ ‘উত্তাল সময়ের ইতিকথা’ সহ একাধিক উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থ লেখেন তিনি।
প্রফুল্ল রায়ের গল্প, উপন্যাস অবলম্বনে রুপালি পর্দার বহু সিনেমা, টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিক নাটক নির্মিত হয়েছে। তার মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল ‘বাঘ বন্দী খেলা’ ‘আদমি অউর অউরাত’ ‘একান্ত আপন’ ‘এখানে পিঞ্জর’ ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ ‘টার্গেট’ ‘ক্রান্তিকাল’।
ডিডি/এসএএইচ