নাটকীয় জয়ের পরও নিজের ভুলে হতবাক আকবর

রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি যেন বাংলাদেশের ‘এ’ দলের স্নায়ুচাপের চূড়ান্ত পরীক্ষা। ১৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ, দারুণ উইকেট টুকটাক, আবার ভয়ানক ফিল্ডিং ভুল—সব মিলিয়ে ম্যাচটি গড়াল শেষ বল, তারপর সুপার ওভার, তারপরও নাটক। শেষ পর্যন্ত সুয়াশ শর্মার এক ওয়াইডে বাংলাদেশ ফাইনালের টিকিট হাতে পেলেও ম্যাচ শেষে যেন পুরো আলোটাই কেন্দ্রীভূত হলো এক ব্যক্তিকে ঘিরে—অধিনায়ক আকবর আলী। নিজের করা ভয়াবহ ভুলে ম্যাচটা হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছিল—এটা উপলব্ধি করেই ম্যাচশেষে সরাসরি ক্ষমা চাইলেন তিনি। শেষ বলে ভারতের দরকার ছিল শেষ বলে ৪ রান। বলটি মিডউইকেটে গিয়ে থামল। ব্যাটাররা নিলেন দুই রান। এখানেই সুযোগ ছিল ম্যাচ জিতে নেওয়ার—কিন্তু স্টাম্পে লাগাতে গিয়ে আকবর বলটি ছুঁড়ে ফেললে ভারতের ব্যাটাররা আরেকটি রান নিয়ে ম্যাচ টাই করে ফেলেন। ফিল্ডিং ক্যাচ–মিস থেকে শুরু করে ওভার–ম্যানেজমেন্ট—পুরো ম্যাচে যেভাবে ভুল জমতে থাকে, আকবরের থ্রো–মিস যেন সেই কাহিনির চূড়ান্ত দৃশ্য। ম্যাচশেষে আকবর নিজেই বললেন, “শুরুতেই সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। জানতাম তাদের ৪ রান দরকার ছিল, কিন্তু জানি না মাথায় কী হলো যে থ্রো করে ফেললাম।” সুপার

নাটকীয় জয়ের পরও নিজের ভুলে হতবাক আকবর

রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি যেন বাংলাদেশের ‘এ’ দলের স্নায়ুচাপের চূড়ান্ত পরীক্ষা। ১৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ, দারুণ উইকেট টুকটাক, আবার ভয়ানক ফিল্ডিং ভুল—সব মিলিয়ে ম্যাচটি গড়াল শেষ বল, তারপর সুপার ওভার, তারপরও নাটক। শেষ পর্যন্ত সুয়াশ শর্মার এক ওয়াইডে বাংলাদেশ ফাইনালের টিকিট হাতে পেলেও ম্যাচ শেষে যেন পুরো আলোটাই কেন্দ্রীভূত হলো এক ব্যক্তিকে ঘিরে—অধিনায়ক আকবর আলী।

নিজের করা ভয়াবহ ভুলে ম্যাচটা হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছিল—এটা উপলব্ধি করেই ম্যাচশেষে সরাসরি ক্ষমা চাইলেন তিনি।

শেষ বলে ভারতের দরকার ছিল শেষ বলে ৪ রান। বলটি মিডউইকেটে গিয়ে থামল। ব্যাটাররা নিলেন দুই রান। এখানেই সুযোগ ছিল ম্যাচ জিতে নেওয়ার—কিন্তু স্টাম্পে লাগাতে গিয়ে আকবর বলটি ছুঁড়ে ফেললে ভারতের ব্যাটাররা আরেকটি রান নিয়ে ম্যাচ টাই করে ফেলেন।

ফিল্ডিং ক্যাচ–মিস থেকে শুরু করে ওভার–ম্যানেজমেন্ট—পুরো ম্যাচে যেভাবে ভুল জমতে থাকে, আকবরের থ্রো–মিস যেন সেই কাহিনির চূড়ান্ত দৃশ্য।

ম্যাচশেষে আকবর নিজেই বললেন, “শুরুতেই সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। জানতাম তাদের ৪ রান দরকার ছিল, কিন্তু জানি না মাথায় কী হলো যে থ্রো করে ফেললাম।”

সুপার ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল মাত্র ১ রান।তবু অভিজ্ঞ ইয়াসির আলী রাব্বি ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন—আরো একবার ম্যাচ গড়ায় টানটান উত্তেজনায়।

শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয় ভারতীয় বোলার সুয়াশ শর্মার ওয়াইডে। বাংলাদেশ নিশ্বাস ফেলতে পারেন, কিন্তু ততক্ষণে সমালোচনার ঝড় উঠেছে আকবরকে ঘিরে।

আকবর ম্যাচসের পরে স্পষ্ট বললেন—“শুরুতে (হাবিবুর রহমান) সোহানের সঙ্গে আমরা ভেবেছিলাম ১৮০ হলেই খুশি। শেষ দিকে রাব্বি ও মেহেরব যেভাবে শেষ করেছে—দুর্দান্ত ছিল।”

কিন্তু পরে নিজের দলকেই কঠোরভাবে সমালোচনা করেন তিনি—“ক্যাচ–মিস আর ফিল্ডিং ভুলে ম্যাচটা সুপার ওভারে চলে যায়।”

ম্যাচের শেষ অংশের মানসিক চাপ এখনও ঝেড়ে ফেলতে পারেননি তিনি।
আকবর বলেন—“গত ২০ মিনিটে কী হলো এখনও বুঝতে পারছি না। আলোচনা করে ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নেব।”

জিতে ফাইনালে উঠলেও বাংলাদেশকে সামনে তাকাতে হচ্ছে আরও সতর্ক দৃষ্টিতে।
ব্যাটিং–বোলিং যেখানে উজ্জ্বল, সেখানে বারবার ফিল্ডিং ভুল বড় সাবধানবাণী—যা আগামী ম্যাচেই বড় মূল্য নেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow