দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় নাটোর শহরের বড় হরিশপুর বাস টার্মিনাল থেকে দত্তপাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার মহাসড়কে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ব্যস্ততম এই মাহসড়কে দিয়ে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করায় বাড়ছে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাপাইনবাগঞ্জ থেকে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন চলাচল করে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাকসহ অসংখ্য যানবাহন। এছাড়া নাটোরের বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে জেলার পূর্বাংশের লোকজন নাটোর শহরে আসার জন্য ব্যবহার করেন মহাসড়কটি। ফলে এই রাস্তায় অটোরিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি মোটরসাইকেলসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। খানাখন্দে ভরা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। নিহত-আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে।
সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী রাহিদ হোসেন জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ এলাকার হাজারো মানুষ আসা-যাওয়া করেন। সেইসঙ্গে চলে বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য যানবাহন। সড়কের অনেক স্থানে ঢালাইয়ের পিচ উঠে মাটি বেড়িয়ে কয়েক ফুট গর্ত হয়েছে। বৃষ্টির দিনে সড়কের গর্তগুলো পানিতে ঢাকা পড়ায় গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। শুকনো মৌসুমে এসব গর্ত পেরিয়ে গাড়ি চলাচল করলেও সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়। সড়কটি মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বড় হরিশপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, এই মহাসড়কের দু’পাশে পুলিশ লাইন, কারাগার, স্কুল কলেজ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কিন্তু র্দীর্ঘ দিনেও মহাসড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে গর্ত ভরাট করা হলেও কিছুদিন পরেই সেগুলো উঠে যায়। রাস্তাটির স্থায়ী সংস্কার দরকার।
পুলিশ লাইনস স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সায়েম হোসেন বলেন, খুব কষ্ট করে আমরা এ সড়ক দিয়ে ছেলেকে নিয়ে আসা-যাওয়া করি। ভাঙ্গা সড়কে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয়। খুব সাবধানে চলাচল না করলেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
অটোচালক ওয়াদুদ জানান, বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়ার জন্য এই সড়কে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে । কিন্তু সড়কটি অনেক দিন সংস্কার না করায় পিচ ও খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্ত দিয়ে গাড়ি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেক সময় সড়কে গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও অসুস্থ বয়স্ক রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আর বৃষ্টি হলে সড়কের গর্তগুলো যেন একেকটা ছোট নর্দমায় পরিণত হয়। সব মিলিয়ে ঝুঁকি নিয়েই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, জনদুর্ভোগ লাগবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটির কাজ শুরু করতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
রেজাউল করিম রেজা/এমএন/এএসএম